বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:১২ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
আটাশ বছর পর সেমি ফাইনালে ইংল্যান্ড

আটাশ বছর পর সেমি ফাইনালে ইংল্যান্ড

আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:

১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড আটাশ বছর পর সেমি ফাইনালে গেল। এর আগে শেষবার ফিফা বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে খেলেছে ১৯৯০ ইতালি বিশ্বকাপে। চতুর্থ হয়েছিল সেবার ইংলিশরা।

শনিবার (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়) সামারা এরেনায় শুরু হয় সেমি ফাইনালে ওঠার এই লড়াই। খেলায় বহুকাল পর এনে দিয়েছে শেষ চারে খেলার যোগ্যতা অর্জনের তৃপ্তি। ইংল্যান্ড সেমিতে খেলবে রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়ার পরের ম্যাচে বিজয়ী দলের বিপক্ষে।

অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই শুরু করে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধে সুইডেনের বিপক্ষে ম্যাচে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৩০ মিনিটে হ্যারি মাগুইরের পর ৫৮ মিনিটে ডেলে আলী অপর গোলটি করেন।

ম্যাচের ৩০ মিনিটে সাফল্য পায় ইংল্যান্ড। দলকে এগিয়ে দেন ডিফেন্ডার হ্যারি মাগুইরে। কর্নার থেকে পাওয়া বলে চমৎকার হেডে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এটি তার প্রথম আন্তর্জাতিক গোল। অবশ্য এর আগে ১৪ মিনিটে একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন হ্যারি কেন। বক্সের সামনে থেকে তার চমৎকার প্লেসিং সাইডবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায় বল।

ম্যাচের ৪৪ ও ৪৫ মিনিটে স্টার্লিংয়ের সামনে দুইবার ফিনিশিংয়ের সুযোগ আসে। একবার স্টার্লিং দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে মারলেন ১০ গজ দুর থেকে। নিয়ন্ত্রণ ছিল না। পরের বার কিভাবে ওই গোল মিস করলেন! ওয়ান টু ওয়ান হয়ে গেলেন স্টার্লিং গোলকিপার ওলসেনের সাথে। কিন্তু যেই না শট নেবেন তখনই ঝাঁপিয়ে বলটা কেড়েছেন সুইডিশ কিপার। এর পর ৫৮ মিনিটে সতীর্থের ক্রস থেকে চমৎকার দক্ষতায় হেড করে দলকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন ডেলি আলী।

বিশ্বকাপে ইংলিশরা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে টাইব্রেকারে কলম্বিয়াকে হারিয়ে। এর আগে সুইডেন ও ইংল্যান্ড ইতিহাসে ২৩বার একে অন্যের মুখোমুখি হয়েছে। সমান সাতটি করে জয় দুই দলের, ড্র ৯টিতে। ১৯২৩ সালে স্টকহোমে প্রথম তারা মুখোমুখি হয়েছিল প্রথমবারের মতো। ইংল্যান্ড জিতেছিল ৪-২ গোলে। শেষবার ২০১২ সালের ১৪ নভেম্বর সুইডেন ও ইংল্যান্ডের দেখা হয়েছিল। সেবার ৪-২ গোলে জিতেছিল সুইডিশরা। ইব্রাহিমোভিচ ওই ম্যাচের একটি গোলের জন্য ফিফা পুসকাস অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন।

ইংল্যান্ড একাদশ : জর্ডান পিকফোর্ড (গোলরক্ষক), কাইল ওয়াকার, জন স্টোনস, হ্যারি ম্যাগুইরে, কেইরান ট্রিপার, অ্যাশলে ইয়াং, হেসে লিনগার্ড, জর্দান হেন্ডারসন, ডেলে আলি, হ্যারি কেইন (অধিনায়ক), রাহিম স্টার্লিং।

সুইডেন একাদশ : রবিন ওলসেন (গোলরক্ষক), ভিক্টর নিলসন লিন্ডেলফ, আন্দ্রেস গ্রাঙ্কভিস্ট (অধিনায়ক), লুইডউইগ অগাস্টিনসন, এমিল ক্রাফথ, সেবাস্তিয়ান লারসন, আলবিন একদাল, এমিল ফরসবার্গ, ভিক্টর ক্লায়েসন, মার্কাস বার্গ, ওলা তোইভোনেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: