বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:০৮ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩

খালেদার জামিন আবেদনের বিরোধিতা করবে দুদক

amarsurma.com

আমার সুরমা ডটকম:

জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের শুনানিতে বিরোধিতা করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে দুদক।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিনের আবেদন দাখিল করার পর তা আজই রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আবেদনের কপি সংশ্লিষ্ট পক্ষকে দিতে হয়। এ কারণে জামিন আবেদনের কপি সরবরাহ করা হয়।

জামিন আবেদনের কপি পাওয়ার পর দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জামিনের আবেদনের কপি হাতে পেয়েছি। আবেদনটি পড়েছি। সেখানে তেমন নতুন কিছু নেই। শুধুমাত্র নতুন বিষয় হলো, আবেদনে বলা হয়েছে গত ১২ ডিসেম্বরের পর থেকে দিনদিন খালেদা জিয়ার শারীরীক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তাই তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে তথা ইউকে’তে (যুক্তরাজ্য) নিতে চান।

তিনি বলেন, আদালতে জামিনের আবেদন আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হবে। সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আইনগতভাবে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে ৭ বছর কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এ মামলায় গতবছর ৩১ জুলাই খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এই খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে গতবছর ১৪ নভেম্বর আপিল করেন খালেদা জিয়া। এই আবেদন গতবছর ১২ ডিসেম্বর খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এই খারিজের রায় প্রকাশিত হয় গত ১৯ জানুয়ারি। এ অবস্থায় নতুন করে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

amarsurma.comখালেদা জিয়ার মুক্তি সরকারের হাতে নেই: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি সরকারের হাতে নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা। সরকার কীভাবে তাকে মুক্তি দেবে? মামলটি রাজনৈতিক হলে তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় মুক্তির প্রশ্ন ছিল।

মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খুলনা বিভাগীয় অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলটির নেতারা রাজনৈতিক ইস্যু তৈরির সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে বিএনপি জনবিস্ফোরণের চেষ্টা করছে। তারা সব কিছুতেই রাজনীতি করতে চায়। তাই দলের নেত্রীর মুক্তির বিষয় নিয়েও রাজনীতি করছে। আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে তারা সরকারকে হঠানোর জন্য নতুন ষড়যন্ত্র করছে।

খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব ঝানু রাজনীতিক হতে পারেন কিন্তু তিনি তো চিকিৎসক নন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন, তা তিনি কিভাবে বুঝবেন? চিকিৎসার বিষয়ে মির্জা ফখরুল তো আর সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা বার্ধ্যক্যের কারণে। এই বয়সে তার শারীরিক অবস্থা যেমন থাকার কথা ঠিক তেমনই আছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল একবার বলেন তার শারীরিক অবস্থা খারাপ আবার বলেন, মানবিক কারণে মুক্তি দেওয়ার কথা।

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ফোনালাপ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ফোনে আমাকে অনুরোধ করে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় নিয়ে যেন কথা বলি। সেটি তিনি অস্বীকার করলে তা প্রমাণ করারও সুযোগ রয়েছে। ফখরুলের সঙ্গে ফোন কলের রেকর্ড আছে। সুতরাং এখানে অসত্য কথা বলার কিছু নেই। তিনি অনুরোধ করেছেন। এখন কী তিনি প্রমাণ করতে চান যে অনুরোধ করেননি। তাহলে কিন্তু প্রমাণ দিয়ে দিতে হবে। আমি এতো নিচে যেতে চাই না। উনি নিজেকে কেন এতো নিচে নিয়ে যাচ্ছেন?

খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি বিষয়ে ফোনালাপে কোনো কথা হয়েছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্যারোল নিয়ে মির্জা ফখরুল কোনো কথা বলেননি। প্যারোল দিতে গেলে একজন বন্দিকে বন্দির চেয়েও বড় কথা তিনি কনভিক্টেট প্রিজনার। কনভিক্টের প্রিজনারকেও প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার নিয়ম আছে। কিন্তু তারা কোনো আবেদনই করেননি। কাজেই সেই নিয়মটি আছে কি-না, যুক্তিযুক্ত কোনো কারণ আছে কি-না তাকে মুক্তি দেওয়ার, সেটা বিবেচনার কোনো অবকাশ নেই।

মুজিব বর্ষ নিয়ে যেন চাঁদাবাজি না হয়: খুলনা বিভাগীয় আওয়ামী লীগের যৌথসভা শেষে মুজিববর্ষে নানা আয়োজন নিয়েও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনকে ঘিরে চাঁদাবাজির মতো কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না বলে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, মুজিব বর্ষ শৃঙ্খলার মধ্যে উদযাপন করবেন। সুতরাং এটি নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি সহ্য করা হবে না। মুজিব বর্ষের নামে যে তোড়জোর দেখছি, তা যেন চাঁদাবাজির দোকান না হয়। বঙ্গবন্ধুকে তাহলে ছোট করা হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, চাঁদাবাজির দোকান খুলে বঙ্গবন্ধুর মহিমাকে বড় করা যাবে না। কাজেই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, জেলায় জেলায় যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, দলীয় ও সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আপনাদের প্রোগ্রাম সাজাতে হবে। যেখানে সেখানে যত্রতত্র চাঁদাবাজি করে বঙ্গবন্ধুর নামে মুজিব বর্ষের একটা দোকান খোলা হবে, সেটিতে সায় দেবেন না। কোনো অবস্থায়ই অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলাকে মদদ দেওয়া যাবে না। যারা এসব করবে তাদের অপতপরতা বন্ধ করে দিতে হবে।

খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বিভাগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: