বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩

ছাতকে ২২ লাখ টাকার ওএমএসের চালসহ আটক ২

aamarsurma.com

চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ): ছাতকে ২২ লাখ টাকার ৫৪ মে.টন সরকারি ওএমএসের চালের বস্তা পাল্টিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ির কাছে বিক্রির অভিযোগে ২ জনকে পুলিশ আটক করেছে। এ সময় ৫৪ মেট্রিকটন ওএমএসের চাল উদ্ধার করা হয়। আটককৃত চাল জড়িত দু’ব্যক্তিকে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নির্দেশে অবশেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসি ও প্রশাসনের পরস্পর বিরুধি বক্তব্য নিয়েই উপজেলাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের গণক্ষাই গ্রামের দিলোয়ার হোসেনের বাড়ি ভাড়ায় নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে সরকারি ওএমএসের চালের বস্তা পরিবর্তন করে বিভিন্ন ব্যবসায়ির কাছে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন সোচ্চার হলে গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ গুদামে অভিযান চালায়। এ সময় ওএমএসের চালের বস্তা পাল্টানোর সাথে জড়িত গণক্ষাই গ্রামের খোয়াজ আলীর পুত্র সুজন মিয়া (২৫) সহ ৩ শ্রমিক পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ি চালক মখলিছুর রহমানের পুত্র মাসুক আহমদও তার সহযোগি বাঁশখালা গ্রামের মৃত হাজি ফজর আলীর পুত্র রূপা মিয়াকে আটক করে। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে পুলিশ তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
অভিযোগ রয়েছে, এসব খয়রাতি ওএমএসের চাল বিক্রির টাকা নির্বাহী অফিসার, এলএসডি ও খাদ্য নিয়ন্ত্রকের পকেটে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে গণক্ষাই গ্রামের কালা মিয়া, শামছুল ইসলাম, আব্দুল আহাদ ও আরজ আলীসহ গ্রামবাসি জানান, গণক্ষাই গ্রামের দিলোয়ার হোসেনের বাড়িতে দীর্ঘদিন থেকে ইউএনওর ড্রাইভারের পুত্র মাসুকের নেতৃত্বে একটিচক্র সরকারি চালের বস্তা বদল করে বিক্রি করে আসছে। এর আগে গ্রামবাসির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় এর প্রতিবাদ করা হয়েছে। কিন্তু মাসুক নিজেকে ইউএনওর পুত্র পরিচয় দিয়ে গ্রামবাসিকে হুমকি প্রদর্শন করে আসছিল।
এ ব্যাপারে এসআই অরুন কুমার দাস জানান, গণক্ষাই গ্রামের একটি বাড়িতে ৪৮ মে.টন সরকারি ওএমএসের চাল পাওয়া যায়। এগুলো নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে রেখে আসছেন বলে জানান।
নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খান জানান, পিআইসির মাধ্যমেই ৪৮ মে.টন চাল বিক্রি করা হয়েছে। ৩টি ডিওর মাধ্যমে ৪৮ মে.টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। পরে মাসুক মিয়া নামের একজনের কাছে এসব চাল বিক্রি করা হয়। তবে চালগুলো অবশ্যই সরকারি চাল ছিল বলে তিনি দাবি করেন।
সুনামগঞ্জ সহকারি পুলিশ সূপার (ছাতক-দোয়ারা জোন) মো. দোলন মিয়া জানান, গণক্ষাই এলাকায় একটি বাড়িতে সরকারি চালের বস্তা পরিবর্তনের ঘটনা জেনে তিনি পুলিশ পাঠিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: