শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৯ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
জামালগঞ্জে জয়তুননেছা আফিন্দী ফাউন্ডেশন’র ত্রাণ বিতরণ

জামালগঞ্জে জয়তুননেছা আফিন্দী ফাউন্ডেশন’র ত্রাণ বিতরণ

মোঃ আবুল কালাম জাকারিয়া, জামালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জে বিছনা গ্রামে জয়তুননেছা আফিন্দী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ফসল হারা হত দরিদ্র ৫০টি কৃষক পরিবারের প্রত্যেককে ২০ কেজি চাউল ও একটি করে শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে জয়তুননেছা আফিন্দী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের বিছনা গ্রামে ফসল হারা কৃষক পরিবারে ফাউন্ডেশনের সদস্য আমেরিকা প্রবাসী জামাল উদ্দিন’র অর্থনৈতিক সহযেগিতায় এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণ বিতরণ পূর্বে ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি মোঃ শের উদ্দিন আফিন্দী’র সভাপতিত্বে শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারাহ তাহসিন নূর আফিন্দী’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক হিজল করছ পত্রিকার সম্পাদক ও ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাব উদ্দিন আফিন্দী, সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জেলা গার্ল গাইড কমিশনার নাছিমা রহমান আফিন্দী, সিলেট হিসাব রক্ষণ অফিসের অফিস সুপার রিজিয়িা বেগম, জামালগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি অঞ্জন পুরকায়স্থ ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিছনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি তাজমিয়া তালুকদার, সামাজিক সুরক্ষা ফোরামের সভাপতি শামছুল হক, ফাউন্ডেশনের সদস্য সৈয়দুর রহমান আফিন্দী প্রমুখ। বক্তরা বলেন, হাওরাঞ্চল তথা সিলেট বিভাগের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও আলোকিত ব্যক্তিত্ব মরহুম পন্ডিত ছিদ্দিক আলী আফিন্দী‘র সহধর্মিনী জয়তুন নেছা আফিন্দী স্মরণে এই ফাউন্ডেশন বেশ কয়েক বছর ধরে এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করছে। বিছনা গ্রামের মরহুম সিদ্দিক আলী আফিন্দী’র পান্ডিত্ব সর্ব সাধারণের কাছে ছিল অত্যন্ত সমাদৃত। তিনি জামালগঞ্জ উপজেলার বিছনা গ্রামে ১৯০৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৭ সালের ১০ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। পন্ডিত ছিদ্দিক আলী আফিন্দী ব্রিটিশ আমলে ভারতের আসাম প্রদেশের শিলচর কলেজ থেকে ১৯৩২ সালে বাংলা বিষয়ে পন্ডিত ডিগ্রি লাভ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে  মিত্র বাহিনীর পক্ষে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তার অসামান্য শরীরচর্চা ও দৈহিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য মহাত্মা গান্ধী কর্তৃক লৌহ মানব খেতাবে ভুষিত হন। দেশে ফিরে প্রথমে হাই স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে ভীমখালী ইউনিয়নে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি শ্রীহট্র জেলার জুরি বোর্ডের (অতিরিক্ত বিচারক) সদস্য ছিলেন। ৫০ এর দশকে ভীমখালী হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করেন। বৃহত্তর সিলেটের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইন্সট্রাক্টরের দায়িত্বও পালন করেন। বিছনা প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠা সহ অনেক জনহিতকর কাজের জন্য সকলের নিকট স্মরণীয় হয়ে আছেন। তার সহধর্মিনী জয়তুন্নেছা আফিন্দী ব্রিটিশ আমলে মাদ্রাসা থেকে এমএ পাশ করে বিছনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন একমাত্র শিক্ষক ছিলেন। তাকে ও তার সহ ধর্মিনীকে স্মরণ রাখতেই এই জনকল্যাণ মূলক কাজ করছে জয়তুনন্নেছা আফিন্দী ফাউন্ডেশন। পরে অসহায় দরিদ্র কৃষকদের মাঝে শাড়ি ও ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: