শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩

দিরাইয়ে কর্মসূচির কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের

amarsurma.com

মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
সরকারি নীতিমালা অমান্য করে নামমাত্র কাজ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত দরখাস্ত দিয়েছেন টংগর গ্রামবাসি। গ্রামের ৫৩ জন স্বাক্ষরিত দরখাস্তের অনুলিপি দেয়া হয়েছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের টংগর গ্রামের একটি রাস্তা করতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ইউনিয়নের মিলনগঞ্জ বাজারের (তারাপাশা) নিকটস্থ ব্রিজ থেকে টংগর গ্রামের আবু সৈয়দ মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত স্থায়ী রাস্তা (আবুরা) করতে কাজ শুরুর আগে গ্রামবাসির সাথে মতবিনিময় করেন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মুজিবুর রহমান। পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার ফুলকাছ মিয়াকে এ কাজের দায়িত্ব দিয়ে কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। সে সময় তিনি জানান, এ রাস্তার জন্য ১২ লক্ষ টাকা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। রাস্তাটির নিচ প্রস্থ হবে ৩০ ফুট, উপরের প্রস্থ হবে ১২ ও উচ্চতা হবে ৫/৬ ফুট। ৪০ দিনের কর্মসূচির এই কাজটি লেবার দিয়ে করানোর নিয়ম থাকলেও এক্সেভেলেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে বলেও লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মূল সড়কটিকে এক্সেভেলেটর দিয়ে এক ফুট গর্ত করে মাটি সরানো হচ্ছে বলেও জানান অভিযোগকারীরা।
বর্তমানে রাস্তাটির নিচ অংশে গড়ে ১৭ ফুট প্রস্থ, উপরের দিকে গড়ে ১১ ফুট ও উচ্চতা সাড়ে তিন ফুট হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়। তাছাড়া রাস্তার একেবারে কাছ থেকে মাটি তোলার কারণে এটি চরম ঝুঁকিতে থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি ধ্বসে গিয়ে জনসাধারণের চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগি হয়ে যাওয়া, প্রকল্প স্থানে সাইনবোর্ড না টাঙ্গানো, অসহায় এলাকার দরিদ্র শ্রমিকদেরকে সরকারের দেয়া সহায়তা হতে বঞ্চিত করা ও সর্বোপরি সামান্য টাকার কাজ করে পুরো টাকাই আত্মসাৎ করার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসি। অনিয়ম ও নীতিমালা বিরোধি এই কাজটির ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে যত শীঘ্রই সম্ভব তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ারও অনুরোধ করেন সচেতন এলাকাবাসি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার ফুলকাছ মিয়া জানান, আমি নিয়ম-নীতি মেনেই কাজ করছি। লেবার দিয়ে মাটি কেটেছি, এক্সেভেলেটর ব্যবহার করিনি। তবে এ ব্যাপারে কে কারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তা আমি জানি না।
অনিয়ম ও নীতিমালা বিরোধি এই কাজের ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন, ইস্টিমেট অনুযায়ি কাজ হচ্ছে। কারা অভিযোগ করেছে তা আমি শুনিনি।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়ে দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শফি উল্লাহ জানান, আমার কাছে অভিযোগটি এসেছে। আমি সেটা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়েছি, তারাই বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: