আমার সুরমা ডটকম:

দিরাইয়ের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে উত্যক্তের ঘটনায় দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ ছাত্রকে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল (সোমবার) বেলা ১১টায় উপজেলার করিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
দিরাই থানা সূত্র জানায়, দিরাই সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্রী প্রাইভেট পড়া শেষে করিমপুরের বাড়িতে ফিরছিল। তারা যথারীতি খেয়াপার হয়ে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির ৩ ছাত্রও পরের খেয়ায় পার হয়ে তাদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে মেয়েরা বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও ছেলেরা পিছু ছাড়েনি। ছাত্রীরা বাড়িতে ঢুকেই চিৎকার করলে গ্রামের কয়েকজন ৩ জন ছাত্রকে আটক করে দিরাই থানায় খবর দেয়। পরে এসআই মোঃ জিয়াউল করিমের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, অনেকদিন থেকেই তারা এই মেয়েদের পিছু নেয়। ছাত্র ৩ জনকে পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবকদের সামনেই তাদেরকে জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়। জরিমানা প্রাপ্তরা হলো পূর্বদিরাই গ্রামের রানু দাসের ছেলে রাতুল দাস (১৪), ইন্দ্রজিত রায়ের ছেলে দিপু রায় (১৬) ও জগদল ইউনিয়নের আতবাড়ি (বর্তমানে পূর্বদিরাই কালিমন্দির রোডে) গ্রামের জুয়েল আহমদের ছেলে রিফাত আহমদ (১৫)। এরমধ্যে রিফাত আহমদকে ১০ হাজার ও অন্য দুইজনকে ৫ হাজার করে জরিমানা দেয়া হয়।
ঘটনার ব্যাপারে সত্যতা স্বীকার করেছেন দিরাই সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাফর ইকবাল ও দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাস (চয়ন)।
ছাত্রী উত্যক্তের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দিরাই থানার অফিসার ইন-চার্জ কে এম নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পেয়েই তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে আসি।
এ ব্যাপারে দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফুল ইসলাম বলেন, ছাত্রী উত্যক্তের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদের আটক করে নিয়ে আসলে তাদের অভিভাবক, দুই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সামনে জরিমানা দায়ের করি।