শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
দিরাইয়ে বাঁধে মাটি কাটায় অনিয়মের অভিযোগ

দিরাইয়ে বাঁধে মাটি কাটায় অনিয়মের অভিযোগ

মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার: একটি দেশের উন্নয়নের মূল চাবিকাটির অন্যতম হিসেবে বিবেচ্য করা হয় কৃষি ক্ষেত্রকে, সে হিসেবে কৃষি প্রধান দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। কিন্তু প্রতি বছরই এই কৃষি বা বোরো ধান নিয়ে দেশে এক প্রকার খামখেয়ালিপনা দেখা যায়। এবারও দেশের বোরো ধানের বিশেষ ক্ষেত্র সুনামগঞ্জের হাওরের ধান রক্ষা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন কৃষককূল। এমন শঙ্কা থেকেই সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ সাহাব উদ্দিন জনস্বার্থে আগাম বন্যার হাত থেকে হাওর রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গতকাল (রোববার) দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এলাকার গণ্যমান্য ১১ জনের স্বাক্ষরিত একটি দরখাস্ত দিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘উপজেলার জগদল ইউনিয়নের চাপতির হাওরের বৈশাখির বাঁধ দিয়ে হাওরে পানি ঢুকতেছে। উক্ত বাঁধে মাটি কাটার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা হয়নি। আমরা এলাকাবাসি বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও তারা কোন কর্ণপাত করেন নি। এখন হাওরে পানি ঢুকলে এলাকাবাসির বোরো জমিন ও হাওরে জমিনের ধান পানিতে ডুবে গেলে এলাকাবাসির বিরাট ক্ষতির সম্মুখিন হবে। আমাদের কৃষকের ঘরে আর ধান উঠানো সম্ভব হবেনা। তাই জরুরী ভিত্তিতে উক্ত বাঁধ বাধার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা অতিব জরুরী।’
যোগাযোগ করা হলে বৈশাখি বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প সভাপতি তাড়ল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, এই বাঁধের কাজটির দায়িত্ব ছিল তাড়ল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বারের, পরে আমাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেকে নিয়ে কাজটি করার জন্য দিয়েছেন। আমি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। বাঁধে পানি ঢুকতেছে কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বাঁধে পানি প্রবেশ করছেন, আমি মাটি ভরাটের কাজ করতেছি।
তাড়ল ইউনয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ শফিক মিয়া জানান, আমাকে পরিষদের মাধ্যমে কাজটি দেয়া হয়েছিল, কিন্তু কমিটির লোকজন সুবিধাজনক না হওয়াতে আমি আর কাজটি করিনি। জানিনা এখন পর্যন্ত কোন কাজ হয়েছে কিনা।
দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে দরখাস্তকারী জগদল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ সাহাব উদ্দিন জানান, হাওরে আমাদের এলাকার কয়েকশত হাল জমি রয়েছে, ঠিকমতো বাঁধ না হলে আমাদের একমাত্র ফসল বোরো ধান এখনই তলিয়ে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুজ্জামান পাভেল জানান, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনের সাথে কথা বলেছি, প্রকল্পের সভাপতি তাড়ল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছের সঙ্গেও কথা বলেছি, ইতিমধ্যে বাঁধে মাটি ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। একদিকে হাওরে পানি ঢুকছে, অন্যদিকে বাঁধে মাটি ফেলা হচ্ছে, এতে কি কোন লাভ হবে-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আর কি করা যায়, তাদের সাথে কথা বলেছি, দেখা যাক কি হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: