বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩

দেশে ফিরছে ২৩ লাশ, বিকেলে হস্তান্তর

আমার সুরমা ডটকমনেপালে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে শনাক্ত হওয়া ২৩ জনের লাশ আজ সোমবার দেশে আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ওই ২৩ জনের লাশ নেপালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর পর দুপুরে তাদের দেশে আনা হবে এবং বিকাল ৪টায় বিএএফ ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু কুর্মিটোলায় মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস এসব তথ্য জানিয়েছেন। কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাশফি বিনতে শামস বলেন, ‘বিমান বিধ্বস্তে নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে আলিফউজ্জামান, পিয়াস রায় ও মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের লাশ এখনও শনাক্ত হয়নি।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাশফি বিনতে শামস বলেন, ‘ডিএনএ টেস্টের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সময় লাগবে ১০ দিন আর নেপালিরা বলেছেন তিন সপ্তাহের কথা। সে অনুযায়ী ১০ থেকে ২১ দিন সময় লাগবে বলা যায়।’

তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের সিভিল এভিয়েশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে।নেপাল এরই মধ্যে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। আমাদের তিন সদস্যের টিম তাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন। সবকিছু হবে নিয়ম মেনে। এক্ষেত্রে দূতাবাস সম্পৃক্ত নয়। যদি দূতাবাসের দরকার হয় তাহলে আমরা সেটুকু করবো।’

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দুই দেশের তদন্তে যা বেরিয়ে আসবে আমরা সেটাকেই সত্য ধরে নেবো। এ ক্ষেত্রে অনুমানের কোনও সুযোগ নেই।’

ইউএস-বাংলা ক্ষতিপূরণ কীভাবে দেবে বা কখন দেবে, এ ব্যাপারে আপনার কাছে কী তথ্য আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এখনই বলা কঠিন। এ বিষয়ে বেশকিছু নিয়ম মেনে কাগজপত্র তৈরি করতে হয়। দীর্ঘসূত্রতার ব্যাপার আছে। যদি কোনও পক্ষ দূতাবাসের সহায়তা চায়, তাহলে আমরা অবশ্যই সহায়তা করবো।’

নেপালি ছয় সদস্যের তদন্ত দলের প্রধান ও সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব নেপালের সাবেক প্রধান যজ্ঞ প্রাসাদ গৌতম জানান, এখন পর্যন্ত তারা যত নথি হাতে পেয়েছেন তাতে এই ইঙ্গিতই আছে যে বিমানের অবতরণ ঠিক ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে দোষারোপ করছি না… তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর পরিষ্কার হয়ে যাবে কী কারণ, দায়ী কে।’

গত ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগ-মুহূর্তে বিধ্বস্ত হওয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন নিহত হন। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ ৭১ আরোহীর মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন ৩৬ জন।
নিহতদের মধ্যে  নেপালের ২২ জন ছাড়া চীনের একজন যাত্রী রয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি, ১২ জন নেপালের ও একজন মালদ্বীপের নাগরিক।

নিহত বাংলাদেশিরা হলেন-ফয়সাল আহমেদ, আলিফউজ্জামান, বিলকিস আরা, বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানু, আখতারা বেগম, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, মো. রকিবুল হাসান, সানজিদা হক, মো. হাসান ইমাম, মো. নজরুল ইসলাম, আঁখি মনি, মিনহাজ বিন নাসির, এফ এইচ প্রিয়ক, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, পিয়াস রায়, উম্মে সালামা, অনিরুদ্ধ জামান, মো. নুরুজ্জামান ও মো. রফিকুজ্জামান, ফ্লাইটের পাইলট আবিদ সুলতান, পৃথুলা রশীদ, শারমীন আক্তার নাবিলা ও খাজা হুসাইন।

এদিকে, বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে, যে তিনজনের লাশ সনাক্ত করা হয়নি তাদের নিকটাত্মীয়দের (বাবা-মা, ভাই, বোন, সন্তান) ডিএনএর নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য যোগাযোগ করতে সিআইডির  ০১৭৩০৩৩৬৩২৬, +৮৮০২৪৮৩২২০১৯ নম্বরে যোগোযোগ করতে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: