শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে যেসব বার্তা

amarsurma.com

আমার সুরমা ডটকম:

জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান ও ভারতের দিল্লি সফরের অর্জন ও সফলতা তুলে ধরতে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে তার দুটি সফরের কর্ম-প্রাপ্তি নিয়ে আলোচনার বাইরেও দেশের সমসাময়িক নানা ইস্যু আলোচিত হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক-চুক্তি, দুর্নীতি দমন অভিযানের ভবিষ্যত, ক্যাসিনো কাণ্ড, বুয়েটে আবরার হত্যাসহ নানা বিষয় ছিল প্রশ্নোত্তর পর্বে।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারতের সমঝোতা স্মারক-চুক্তি বিষয়ে বলেছেন, দেশের কোনো স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করবে, এটা কখনও হতে পারে না। বরং যে যে সমস্যা ছিল (দুদেশের মধ্যে) সেটা আমরাই সমাধান করেছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ত্রিপুরাবাসীকে খাবার পানি হিসেবে ফেনী নদীর থেকে ১.৮২ কিউসেক পানি দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। যা অনেকটা ঐতিহাসিক ঋণ শোধের মতো একটি প্রক্রিয়া বলে আমাদের মনে হয়েছে।

এছাড়া এলপিজি গ্যাস রপ্তানিতে দেশের লাভ, নৌ-বিমান বন্দর বিষয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার নানাদিক ছিল প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যায়। দুটি অসম দেশের মধ্যে এধরণের চুক্তিতে কে কতটা লাভ-ক্ষতিতে পড়ে, তা হয়তো সময়ই বলে দেবে।

জাতিসংঘ ও ভারত সফরের আগে দুর্নীতি আর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা দিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যার ফলশ্রুতিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে সংস্কার আসতে শুরু করেছে, দলীয় অ্যাকশনের পাশাপাশি দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বিভিন্নজনের কর্মকাণ্ডে। এই ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এইসব অভিযান-অ্যাকশন শুধু রাজধানীতেই না সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশ্বাস দেন তিনি। বিষয়টি খুবই ইতিবাচক বলে আমরা মনে করি।

কয়েকদিন আগে বুয়েটে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর উচ্চারণ ছিল স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: দলীয় পরিচয়ে আবরারের হত্যাকারীরা কেউ পার পাবে না। হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে হবে, কে ছাত্রলীগ বা কে কোন দল তা আমার দেখার বিষয় না, আমার কাছে অপরাধী অপরাধীই।

দলীয় পরিচয় থাকলে অপরাধীরা পার পেয়ে যাবার যে অতীত ইতিহাস জনগণকে হতাশ করেছে, প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা তাদের আত্মবিশ্বাসী করবে সন্দেহ নেই। যার প্রমাণ হিসেবে ইতোমধ্যে অধিকাংশ অভিযুক্তের গ্রেপ্তার হওয়াকে উল্লেখ করা যেতে পারে। তবে এ ধরণের ঘটনাগুলো কেন ঘটছে, কেন জনগণ বা ছাত্রদের কল্যাণের বদলে রাজনীতিতে হিংসা-হানাহানি-রক্তপাত হচ্ছে তার কারণ খুঁজে বের করে সমাধান করা উচিত বলে আমরা মনে করি।

সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী যেসব বার্তা দিলেন তার বক্তব্যে, তা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন শাখায় থাকা দায়িত্বপ্রাপ্তদের। আর সেসব দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব গণমাধ্যমসহ সরকারের বিভিন্ন পদপ্রাপ্তদের বলে আমরা মনে করি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে সবকিছু ইতিবাচক ধারায় আসা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: