শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের প্রতীক হুদা ঘালিয়ার হৃদয়গ্রাহী বক্তৃতা

ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের প্রতীক হুদা ঘালিয়ার হৃদয়গ্রাহী বক্তৃতা

আমার সুরমা ডটকম ডেক্সহুদা আলী ঘালিয়ার বয়স তখন মাত্র ১২ বছর। ২০০৬ সালের জুনে যখন তার পরিবার উত্তর গাজার সুদানীয়া সমুদ্র সৈকতে একটি আনন্দমুখর দিন কাটাচ্ছিল। পরবর্তীতে কি ঘটেছে তার স্বাক্ষী বিশ্ব। ইসরাইলি মর্টারের গোলা সৈকতটিতে আঘাত হানে। এতে তার বাবা, তার সৎমা এবং তার পাঁচ ভাই-বোনসহ বহু মানুষ নিহত হয়। বিস্ফোরণের পরে একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায় হুদা তার নিহত বাবার লাশের পাশে বসে বার বার কান্নায় মূর্ছা যাচ্ছেন। ভিডিও ক্লিপটি তাৎক্ষণিক ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের প্রতীক হয়ে ওঠে।

হুদা এখন একজন পরিপূর্ণ তরুণী। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এমন মানসিক আঘাত নিয়ে বড় হওয়ার চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতে তার প্রত্যাশা সম্পর্কে মর্মন্তদ বক্তৃতা দিচ্ছিলেন হুদা। হুদা বলেন, ‘গাজা সমুদ্র সৈকত কি মেয়েটাকে মনে রাখবে? মেয়েটি (হুদা) তার পরিবারের সঙ্গে আনন্দে সময় কাটাচ্ছিল। দখলদার ইসরাইলি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ তাদের ওপর আঘাত করেছিল। তার বাবা, তার চারজন বোন, তার ভাই এবং তার চাচী ওই আঘাতে মারা যান।’ তিনি আরো বলেন, ‘তার মা আহত হয় এবং আহত হয় তার অন্য চার বোন এবং তার এক ভাই। মেয়েটিও আহত হয়। সে তখন ১২ বছর বয়সী ছিল। আমিই সেই মেয়ে, হুদা আলী ঘালিয়া।’

এখন ২৩ বছর বয়সী এই তরুণী শরিয়া ও আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এই অর্জনের পিছনে উৎসাহ যুগানোর জন্য তিনি তার মাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। হুদার মা হাতে একটি ফুলের তোড়া নিয়ে মঞ্চে তার সঙ্গে যোগ দেয়। তারা দুজনেই পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করেন। এসময় শ্রোতারা দাঁড়িয়ে বিপুল করতালির মাধ্যমে তাদের অভিবাদন জানান। ছাত্রছাত্রীদের সম্মানসূচক পুরস্কার দেয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান আদেল আওয়াদাল্লাহ বলেন, ‘হুদা একজন সাধারণ ব্যক্তি নয়। সে প্রতিটি ফিলিস্তিনির একটি অংশ। সে আমাদের আত্মা এবং আমাদের অন্তরকে জয় করেছে এবং তার যত্ন নেয়া এবং তার পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য।’ ইসরাইলি সামরিক বাহিনী প্রথমে ওই বোমা হামলার জন্য হামাসকে দায়ী করেছিল। ২০০৬ সালে ওই হামলায় আট বেসামরিক লোক নিহত হয়েছিল এবং ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল। সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: