শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩

মরলেও ভোট বর্জন করব না: ড. কামাল

amarsurma.com

আমার সুরমা ডটকম:

মরে গেলেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভোট বর্জন করবে না বলে জানিয়েছেন জোটের প্রধান নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। সোমবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান। এর আগে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ইসির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতারা বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে ড. কামাল বলেন, ‘আমরা মরে গেলেও ভোট বর্জন করব না। আমার লাশ এনে হলেও ভোট দিয়ে যাওয়া হবে। আপনারা ভাবছেন, কিভাবে? আমার আঙুলতো থাকবে। সে আঙুলের ছাপ নেয়া হবে। তাও ইলেকশন হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার চাইছে, এ রকম জঘন্য আক্রমণের মুখে আমরা আবেগের চোটে বলে দেই—নির্বাচন বর্জন করলাম। কিন্তু, এটা আমরা বলব না। আমাদের লাশও এমনটি করবে না।’

ঐক্যফ্রন্ট প্রধান বলেন, ‘আমরা উনাদের (ইসিকে) তথ্য দিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে বললাম, পুরো দেশে উত্তর-দক্ষিণ সব জায়গা থেকে অভিযোগগুলো পেয়েছি। পেশীশক্তি নিয়ে প্রার্থীদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। যারাই নির্বাচনের কাজে নামছে, তাদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। কেউ পোস্টার লাগাতে পারছে না। বক্তব্য রাখতে পারছে না। বিভিন্ন জায়গায় একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে। যারা নির্বাচন করার জন্য এগিয়ে এসেছেন, তাদের নিরুৎসাহিত করার জন্য এসব করা হচ্ছে। এটা ‍খুবই ভয়াবহ।’

তিনি বলেন, ‘আমারতো ৫৫ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলাম ৭০-এ। তখন থেকে এখন সব নির্বাচনই ভালমন্দ দেখেছি। কিন্তু, এমন অবস্থা কোনো দিন দেখি নাই। যারা প্রার্থী আমরা লিখিত তালিকা দিয়েছি, বেশকিছু কেস, যেখানে সময় স্থানের ছবি দিয়েছি। গুলিবিদ্ধ ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রোমানার ছবি দিয়েছি। এক-দু’চোখ হারিয়েছেন, সেই নারীরও ছবি দিয়েছি। আ স ম আব্দুর রবের ভাঙ্গা গাড়ির ছবিও আমরা দিয়েছি ইসিতে।’

কামাল হোসেন বলেন, ‘এসব ঘটনার কিছু কিছুতে সিইসি বিব্রত হয়েছেন। আমরা মনে করি, বিব্রতবোধ করা যথেষ্ট নয়, আমরা তাকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলেছি। আমরা তাদের বলেছি, এখনই আপনারা ইনকোয়ারি চান, একদিনের মধ্যে রিপোর্ট নেন, পদক্ষেপ নেন, যাতে বুঝতে পারি নির্বাচন কমিশন দেশকে মুক্ত করতে চায়, যাতে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের ন্যূনতম পরিবেশ আমরা পাই।’

তিনি বলেন, ‘এক দলের পোস্টার ছাড়া অন্য কোনো দলের পোস্টার দেখা যায় না। এটা আমি জীবনে দেখিনি। শুধু এক দলের পোস্টার থাকে, অন্য দল মাঠে নামতে পারে না। আমি যতদিন বেঁচে থাকি একথাগুলো বলে যাব। আপনাদের সামনে বলব, মানুষের সামনে বলব। প্রতিকার দাবি করব।’

গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘মানুষের ভোটাধিকারের ক্ষমতার কথা বলব। লাখো লাখো শহীদ যেই ক্ষমতা দিয়ে গেছেন, সেটা থেকে যেন জনগণ বঞ্চিত না হয়। এখন যে প্রক্রিয়া চলছে, তাতে বঞ্চিত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত। এটি দ্রুত বন্ধ করতে হবে। আমরা মনে করি, ইসির সেই ক্ষমতা আছে, ইচ্ছে করলেই পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের পর ইনকোয়ারির কোনো অর্থ থাকবে না। একদিনের মধ্যে রিপোর্ট চেয়ে পরশুর মধ্যে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। সংবিধান অনুযায়ী ইসির ক্ষমতা আছে। কিন্তু, উনারা সেটি প্রয়োগে করছেন না।’

এ সময় সেনাবাহিনী মোতায়েন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামালের সঙ্গে থাকা জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘আমরা আজ থেকেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছি।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্য কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: