শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩১ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
‘রাজনীতি ব্যবসায়ীদের পকেটে চলে গেছে’: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

‘রাজনীতি ব্যবসায়ীদের পকেটে চলে গেছে’: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

downloadআমার সুরমা ডটকম : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, দেশের রাজনীতি ব্যবসায়ীদের পকেটে চলে গেছে। এটি দেশের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। এ থেকে মুক্ত হতে হবে রাজনীতিকে। সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি সারাজীবন সততার সঙ্গে রাজনীতি করেছি। কোনদিন অন্যায় করিনি, অন্যায়কে প্রশ্রয়ও দেইনি। এটিই আমার সাহস, মনের জোর ও শক্তি। তাই কেবল দেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবেও আমি বুক ফুলিয়ে কথা বলতে পারি। নিজেকে ১৬ কোটি মানুষের প্রেসিডেন্ট হিসেবে উল্লেখ করে মো. আবদুল হামিদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ করেছি। কিন্তু বর্তমানে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলতে পারি না। অন্য দলের বিপক্ষেও কথা বলতে পারি না। এমনকি আমার ছেলে যখন আমার আসনে নির্বাচন করেছে, আমি তার পক্ষেও কথা বলতে পারিনি। আমি আমার ছেলেকে বলি, নিজের আখের গোছানোর চিন্তা না করে দেশ ও মানুষের জন্য যেন সে কাজ করে। অষ্টগ্রামে নিজের নামে নবনির্মিত ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতু’ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এই নাগরিক সমাবেশে প্রেসিডেন্ট বলেন, আমার জন্ম হাওর এলাকায়। বৃটিশ ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ তিনটি রাষ্ট্রের নাগরিক আমি। হাওর এলাকার মানুষ বরাবরই অবহেলিত ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের শিকার হয়েছে। তাই একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমার উপলব্ধিই ছিল, হাওর এলাকার উন্নয়ন। তিনি বলেন, এক সময় হাওর এলাকায় বর্ষাকালে কেউ মারা গেলে, তাকে কবর দেয়া কিংবা শ্মশানে পোড়ানোর জায়গাও ছিল না। তাদের লাশ পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হত। এখন হাওরের প্রতিটি গ্রামে একাধিক কবরস্থান ও শ্মশান রয়েছে। এখন আর মানুষকে পানিতে ভাসাতে হয় না। এ সময় রাষ্ট্রপতি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “আপনাদের বেড়া দিয়ে আটকাইয়া রাখছে।  আর আমারে বন্দি কইরা রাখছে। কাছে ঘেঁষবার কোনো জো নাই। রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে যখন আসতাম এ ধরনের সভা হলে বাঁশের বেড়া ছিল না।  বাঁশের বেড়া দেওয়ার অর্থই আপনারা যাতে কাছে আসতে না পারেন। আমিতো মোটামুটি বন্দি। আমার তো আপনাদের কাছে যাওয়ার সুযোগ নাই।” “আগে যেভাবে আসতাম সেভাবে আসার সৌভাগ্য হয়ে ওঠে না, সম্ভব না। দেশে কেন, বিদেশেও যদি যাই আমার এসএসএফ এর ভাইরা আছেন, পিজিআর আছেন, বঙ্গভবনের ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা আছেন। তারা সবসময় আমাকে ঘেরাওয়ের মধ্যে রাখেন। তাদের অবরোধ ডিঙিয়ে বাইরে যাওয়া কষ্টকর।” সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকার উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপও উঠে আসে আবদুল হামিদের বক্তব্যে। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কিশোরগঞ্জে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রস্তাব আমি দিয়েছি। তিনি একমত হয়েছেন। আশা করি, আগামী বছরই এর কাজ শুরু হবে।” অষ্টগ্রাম নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চুর সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, অষ্টগ্রামের উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জেমসও বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অষ্টগ্রাম উপজেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চু।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: