শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতার নেতৃত্বে মাদরাসায় হামলা, প্রিন্সিপালকে মারধর

সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতার নেতৃত্বে মাদরাসায় হামলা, প্রিন্সিপালকে মারধর

index_114711আমার সুরমা ডটকম : চাঁদার দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জে মক্কিনগর মাদরাসায় হামলা চালিয়েছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় মাদরাসার প্রিন্সিপাল তাহের আল হোসাইন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ মফিজুল ইসলাম মজু নামে এক হামলাকারীকে আটক করেছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় হিরাঝিল মক্কিনগর মাদরাসার ভেতরে এ ঘটনা ঘটেছে। মাদরাসার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আওয়ামীলীগের লোকজনের সঙ্গে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাদরাসার ভেতরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনকে আসামি করে মাদরাসার পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ মামলা নেয়নি বলে জানিয়েছেন মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা তাহের আল হোসাইন। প্রিন্সিপাল তাহের আল হোসাইন জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ মক্কিনগর মাদরাসার ভেতরে ক্রয়কৃত জমির ওপর মসজিদ  ও মাদরাসার ভবন নির্মাণকাজ চলছিল। এলাকার মৃত সাইজুউদ্দিন মিয়ার ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী মনির ও মফিজুল ইসলাম মজু কয়েক দফা চাঁদা দাবি করে। এর আগে চাঁদা না দেয়ার কারণে ২০০৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ও ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দুই দফা মাদরাসায় হামলা করে তারা।
এক পর্যায়ে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, সন্ত্রাসী মনির ও মফিজুল ইসলাম মজুর পক্ষে ক্যাডার বাহিনী নিয়ে এসে ২ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ইয়াছিন মিয়ার বডিগার্ড ক্যাডার শরিফুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আশিক, মনির, মজুসহ ৫০-৬০ জন সন্ত্রাসী দেশি অস্ত্র নিয়ে মাদরাসায় হামলা চালায়।
হামলাকারীরা প্রিন্সিপাল তাহের আল হোসাঈনকে মারধর করে। এ ঘটনা দেখে মাদরাসার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও সন্ত্রাসী মজুকে শিক্ষার্থীরা আটক করে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন এবং আটক মজুকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান।
এ ঘটনায় মাদরাসার হেফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, মনির হোসেন, মজু, শরীফুল, আনোয়ার হোসেন আশিকের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়  লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইয়াছিন মিয়া ও আশিক নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডারের মামলা থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত। নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটির মামলায় তারা এজাহারভুক্ত আসামি ছিল। প্রায় ১৫ মাস আত্মগোপনে থাকার পর তারা এলাকায় ফিরে আসে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া সাংবাদিকদের জানান, চাঁদা চাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। আমি গিয়েছিলাম মাদরাসা পরিদর্শনে। এখন শুনছি চাঁদা চেয়েছি, মাদরাসায় হামলা করেছি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম মাদরাসায় হামলার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, মাদরাসার সঙ্গে সীমানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মাদরাসার লোকজন হামলাকারী একজনকে আটক করে রেখেছিল। তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে। মাদরাসার ভেতরে ও এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ এখনও পাইনি, পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: