শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
সুনামগঞ্জে ৬ষ্ট শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত: প্রতিবাদে মানববন্ধন, গ্রেফতার ১

সুনামগঞ্জে ৬ষ্ট শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত: প্রতিবাদে মানববন্ধন, গ্রেফতার ১

as1-300x190আমার সুরমা ডটকম : ভূল নাম্বারে মোবাইলে ফোনকে কন্দ্রে করে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর শিশু শিক্ষার্থী মোঃ রতন মিয়াকে (১১) বুধবার বিকেলে দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল জলিল, পাশ্ববর্তী রাজনপুর গ্রামের হাজী মোঃ আয়েজ আলী, প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম মিলে বেদড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং জুতার মালা পড়িয়ে বাজার ঘুরানোর প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন প্রতিষ্টানটির শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। এ ঘটনায় প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা নজরুল ইসলামকে বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ আটক করে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে উপজেলার দোহালিয়া হাসপাতাল পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে এলাকার ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকসহ হাজারো মানুষ অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন দোহালিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ যুবরাজ আহমেদ, রুবেল মিয়া, মাসুক রাজা, ইয়ারুল মিয়া, হিলিম উদ্দিন, জাহান মিয়া, লাইলুদ্দিন, কালা মিয়া, রাসেন্দ্র বাবু, আব্দুনুর মিয়া, ফরিদ মিয়া, আপরাজ মিয়া, সুলতান মিয়া, আলী আহমদ, রফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য আবুবক্কর মিয়া, নির্যাতিত শিশু শিক্ষার্থী রতন মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল ওয়াহিদ, আব্দুল ছোবাহান, প্রনয় তহবীলদার, কালা মিয়া, আলাউর প্রমুখ। বক্তারা প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল জলিলকে দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান। অন্যতায় আগামীতে আরো কঠোর কমৃসূচী প্রদানের ও ঘোষনা দেন তারা। উল্লেখ্য,  ৪/৫দিন পূর্বে উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের রাজনপুর গ্রামের নির্যাতিত শিশু শিক্ষার্থী রতন মিয়ার মোবাইল ফোন হতে তার ক্লাসমেট (মেয়ের) পিতা হাজী মোঃ আয়েজ আলীর মোবাইল ফোনে কল যায়। এতে আয়েজ আলী রাগান্বিত হয়ে গত ১৪ অক্টোবর সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সানুর আলী মিলে দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠকে বসেন বিষয়টি সুরাহার জন্য। বৈঠকে পার্ম্ববর্তী পানাইল (নতুনপাড়া) গ্রামের মোশাহেদ আলী ও তার ছেলে প্রগতি বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর নির্যাতিত শিশু শিক্ষার্থী রতন মিয়া এই রং কলের জন্য মেয়ের পিতা হাজী আয়েজ আলীর পায়ে ধরে ক্ষমা চান। এ সময় উপস্থিত প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল জলিল ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ শিশুটিকে বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে চেয়ারম্যানসহ, হাজী মোঃ আয়েজ আলী, প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম মিলে বেদড়ক পিটিয়ে শিশুটি গুরুতর আহত করে এবং  জুতার মালা পড়িয়ে পুরো বাজার ঘুরানো হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্র রয়েছে। এ সময় শিশুটি গুরুতর আহত হলে তাকে দোহালিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা। এর আগে উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী কেলেকারীসহ নানান অনিয়ম র্দূনীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা মোশাহেদ আলী বাদি হয়ে গত বুধবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল জলিল, প্রতিষ্ঠানটির সহকরাী শিক্ষক গ্রেফতারকৃত মাওলানা নজরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক গণেশ বাবুকে আসামী করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামরা নং-১৩। এ ঘটনায় পুলিশ প্রতিষ্ঠানটির সহকরাী শিক্ষক নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যপারে দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল জলিল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন যারা এ ধরনের তথ্য দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্রা বানোয়াট। এ ব্যাপারে দোয়ারা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম নেওয়াজ বলেন, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: