মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৬ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে ৩টি উপজেলা

সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে ৩টি উপজেলা

সাইফ উল্লাহ, বিশেষ প্রতিবেদক (সুনামগঞ্জ):
মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে ও আসাম রাজ্যর পাশ্ববর্তী অবস্থিত হাওর বৈশিষ্ট সুনামগঞ্জ-১ আসন ধর্মপাশা-মধ্যনগর, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলা। সেই বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা চির কুমার ও সম্পাদক ফজলুল হক সেলবষী থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনের যত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তার আগে এতো উন্নয়ন আর হয়নি। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর পাল্টে যেতে থাকে এই এলাকার চিত্র। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ১০ জাতীয় সংসদ নিকর্বাচনে আবারও বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচনে আবারও বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এমপি রতন। পরবর্তী তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের হাত ধরে উন্নয়নের ছোয়ায় পাল্টে যাচ্ছে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চাল ধর্মপাশা, মধ্যনগর, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলা।
স্বাধীনতার ৩৬ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি গত ৯ বছরে সেই উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবী করেছেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচিত এলাকার তৃণমুলের সাধারণ মানুষ। রাস্তাঘাট-মসজিদ-মন্দির, কলেজ-স্কুল, মাদরাসা, হাসপাতাল-কমিউনিটি ক্লিনিক, ব্রীজ-কালভাট, সাইক্লোনের শেল্টার, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘুণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবণ নির্মাণ, হাই স্কুল/কলেজ সরকারী করণ, আওয়ামী লীগের নিজস্ব অফিস নির্মাণ, কৃষি ভতুর্কি, কাবিকা-কাবিটা, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, সৌরবিদ্যুৎ, পাকা রাস্তা, নিরাপদ পানির ব্যবস্থা, বিভিন্ন হাট বাজারসহ বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করেছেন।
ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিস বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের আন্তরিকতার কারণে ধর্মপাশা, মধ্যনগর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর উপজেলায় উন্নয়ন হয়েছে। উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক শাহ আব্দুল বারেক ছোটন বলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি যেভাবে এই এলাকার উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন, তা সরকারের ভাবমূতি আরও উজ্জ্বল করেছেন। আজ উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে তিনটি উপজেলার দৃশ্যপট। কয়েক বছরের মধ্যে গ্রামে গ্রামে পাকা রাস্তা নির্মাণ করেছেন ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বদলে গেছে এ তিন উপজেলার মানুষের জীবনচিত্র। গ্রাম থেকে শহরে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, অনেক চ্যালেঞ্জ চুড়ে ৯ বছরে উন্নয়নের ছোয়াও এগিয়ে গেছে। মধ্যনগর থানার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ কান্তি সরকার বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, হানা-হানি নেই। শান্তিময় এখন সুনামগঞ্জ-১ আসন। হাওর বন্ধু উন্নয়নের রুপকার ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। এমপি হয়ে এলকার উন্নয়নে নেমে পড়েন তিনি। এমপির প্রচেষ্টায় নানামূখি উন্নয়নর হয়েছে তিন উপজেলায়। এ উন্নয়নে প্রতিটি গ্রামের পাড়া-মহল্লা থেকে অলিগলি পর্যন্ত। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, পাঁচতলা ভবন জামালগঞ্জ কলেজে ও জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
স্থানীয় লোকজন মনে করেন ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি এক জন উন্নয়নের রুপকার। তারা মনে করেন, এমপি রতনের সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে এসব উন্নয়ন হয়েছে। গত ৯ বছরে সরকারের সেবাদান কারী প্রতিষ্ঠানসহ অভুতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তারেই ধারাবাহিকতায় স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন তিন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ।
জামালগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মাদ আলী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিন উপজেলায় গত ৯ বছরে অসংখ্য উন্নয়ন মূলক কাজ করা হয়েছে।
জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা গোলাম জিলানী আফিন্দী রাজু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে আমাদের স্থানীয় এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন একটি দৃষ্টান্ত উদাহারণ।
জামালগঞ্জ উপজেলা যুবলীগরে সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক ইকবাল আল আজাদ বলেন, উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে লোকজন আবারও ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপিকে বিজয়ী করবে বলে আমার বিশ্বাস। ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারকে মূল্যায়ন করে এবং জনগরেণ তৃণমূল লোকজনের চাহিদা বিবেচনা করে এমপি রতন উন্নয়নের হাত দিয়েছেন।
এমপি রতন বলেন, বিগত ও বর্তমান সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা, বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক সহযোগীতায় হাওর বৈশিষ্ট সুনামগঞ্জ-১ আসনের তিনটি উপজেলাসহ মোট চারটি থানার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। চলতি অর্থ বছরেও এ উন্নয়ন অব্যাহতি থাকবে এবং বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও বলেন, শুধু রাস্তাঘাট নয়, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ঈদগা, কবর স্থান, শ্বশানসহ বয়স্ক ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, শিক্ষা বৃত্তি, একটি বাড়ি একটি খামার, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিন উপজেলায় বাস্তবায়ন চলে শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের কাজ।
তিন উপজেলার প্রকল্প বাস্তাবায়ন অফিস সুত্রে জানা যায়, সড়কসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে শুরু করে টিয়ার-কাবিখা কর্মসূচীর মাধ্যমে অসংখ্য উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন।
অপরদিকে কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ উপজেলার অন্যান্য দফতরের মাধ্যমেও ঘটেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। স্থাপনা করা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ও কেন্দীয় শহিদ মিনার। এমপি রতনের একান্ত প্রচেষ্টায় তিন উপজেলায় মাধ্যমিক ৩টি হাইস্কুল ও ৩টি কলেজ সরকারী করণ করা হচ্ছে। এছাড়াও নদী খনন কাজ চলছে। ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাজ চলছে। বিভিন্ন স্থানে মিনি স্ট্রেডিয়াম কাজ চলছে। এছাড়া ও বৃহত্তর সিলেটের এলজিইডি কর্র্তৃক দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম যাদু কাটা নদীর উপর ৭৫০ মিটার শাহ আরফিন ও অদ্বৈত মৈত্রী সেতুর কাজ চলছে।
তিন উপজেলার কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলা পর্যায়ে সরকারীভাবে নানামুখি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ বিশেষ ভুমিকা পালন করছে। কৃষি অফিস থেকে দেওয়া এ খাতে সরকারের ভতুর্কি থাকে যা প্রাপ্তিতে কোন ঘাটতি পড়েনি। ধর্মপাশা-মধ্যনগর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ উপজেলায় ৮০ ভাগ লোক কৃষি কাজে জড়িত। হাওরে প্রধান অর্থকারী ফসল মদ্যে অন্যতম বোরো ধান, আংশিক আউশ ও ফলে। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের সবজি ফলে অত্র এলাকায়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপির সঠিক সিদ্ধান্তে তিন উপজেলার মানুষ এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। তারা এখন স্বাচ্ছন্দ জীবন যাপন করছেন।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে হলে ্ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশনকে সামনে রেখে হাওরাঞ্চলের তৃণমূল জনসাধারণের চাহিদা উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করে উন্নয়নকে অব্যাহত রেখেছি। জননেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক সহযোগীতায় ধর্মপাশা-মধ্যনগর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। আগামীতেও এ উন্নয়নের ধারা অভ্যাহত থাকবে। সমগ্র বিশ্ব এখন বঙ্গবন্ধুর নামে বাংলাদেশকে চিনে, ৫৭তম দেশ হিসাবে আওয়ামী লীগ সরকার স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়েছে। মহাকাশে এখন বঙ্গবন্ধুর নামে এ স্যাটেলাইট চলবে এবং সরকারের উন্নয়ন ধারা অভ্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: