বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : চলমান ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৭১ জন এবং আহত হয়েছেন ৬ শতাধিক। রাজধানীর রিপোটার্স ইউনিটিতে আজ অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। ‘চলমান ইউপি পরিষদ নির্বাচনের চালচিত্র’ তুলে ধরতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সুজনের সম্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘চলমান ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচন পূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষ এবং নির্বাচনকেন্দ্রীক বিরোধের জেরে নিহত হয়েছেন ৭১ জন এবং আহত হয়েছেন ৬ শতাধিক। প্রাণহানির তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রথম ধাপের নির্বাচনের পূর্বে ১০ জন, প্রথম ধাপের নির্বাচনের দিন ১১ জন এবং প্রথম ধাপের নির্বাচনের পর থেকে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত ১১ জন নিহত হয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের দিন ৯ জন, নির্বাচনের পর থেকে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত ১৭ জন, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের দিন ৫ জন এবং তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, দলগত পরিচয়ে চলমান ইউপি নির্বাচনের সহিংসতায় নিহত হয়েছে আওয়ামীলীগের ২৯ জন, বিএনপির ২ জন, আওয়ামী বিদ্রোহী ৭ জন, জাতীয়পার্টির ১ জন, জাতীয়পার্টি জেপি ১ জন, জনসংহতি সম্মেলনের ১ জন, মেম্বার প্রার্থীর কর্মী বা সমর্থক ১৫ জন এবং ১৬ জন সাধারণ মানুষ। চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ইতিমধ্যে সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়েছে জানিয়ে সুজনের এই সমন্বয়ক বলেন, প্রথম ধাপ থেকে শুরু করে চতুর্থ ধাপের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহারের পর এই সংখ্যা ১৫০-এ দাঁড়িয়েছে। প্রথম ধাপে ৫৪ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৩৪ জন, তৃতীয় ধাপে ২৯ জন এবং চতুর্থ ধাপে ৩৩ জন চেয়াম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এরা সবাই আওয়ামীলীগের। তিনি বলেন, চার ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী শূন্য ছিল বা আছে ৩৮৮টি ইউনিয়নে। প্রথম ধাপে ১১৯ ইউনিয়ন, দ্বিতীয় ধাপে ৭৯ ইউনিয়ন এবং তৃতীয় ধাপে ৮১ ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী শূন্য ছিল। চতুর্থ ধাপেও ১০৯টি ইউনিয়নে দলটির কোনো প্রার্থী নেই। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় বিএনপির প্রার্থীদের অনেক স্থানে ভয়ভীতি প্রদর্শন মনোয়নপত্র জমাদানে বাধা মনোয়ন পত্র কেড়ে নেওয়া বা ছিড়ে ফেলার কারণে তারা জমা দিতে পারেনি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সুজন সভাপতি হাফিজ উদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, সুজনের জাতীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।