শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:২৪ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩

ইলিশের জীবনরহস্য উন্মোচন

আমার সুরমা ডটকম :

বিশ্বে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য উন্মোচিত হয়েছে। প্রায় ৩ বছর গবেষণার পর এ সাফল্য অর্জন করেছেন ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৎস্য গবেষকরা।
শনিবার সকালে বাকৃবি ক্যাম্পাসের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি করেন গবেষকরা।

ইলিশ জিনোম সিকোয়েন্সিং অ্যান্ড অ্যাসেম্বলি টিমের সমন্বয়ক ও ফিসারিজ বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

তিনি বলেন, জিনোম হচ্ছে কোনো জীবের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। জীবের জন্ম, বৃদ্ধি, প্রজনন এবং পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াসহ জৈবিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় জিনোমের মাধ্যমে। ইলিশের জিনোমে ৭৬ লাখ ৮০ হাজার নিউক্লিওটাইড রয়েছে, যা মানুষের জিনোমের প্রায় এক চতুর্থাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে গবেষণা কাজ শুরু করেন বাকৃবির গবেষকরা। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই ইলিশের পূর্ণাঙ্গ ডি-নোভো-জিনোম অ্যাসেম্বলি প্রস্তুত হয়। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট আন্তর্জাতিক জিনোম ডাটাবেজ ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনে জমা করা হয় ইলিশের সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স। তাছাড়া ইলিশের জিনোম নিয়ে গবেষণালব্ধ ফলাফল ২টি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এর আগে দেশি ও বিদেশি গবেষকদের সমন্বয়ে পাট ও মহিষের জীবন রহস্য উন্মোচন হয়েছে। ইলিশের ক্ষেত্রেই দেশীয় বিশেষজ্ঞরা এমন সাফল্য অর্জন করলো। যা মৎস্য সেক্টরে যুগান্তকারী যুগের সৃষ্টি করবে বলে গবেষকদের দাবি।

গবেষকরা জীবন রহস্য উন্মোচন করতে মেঘনা ও বঙ্গোপসাগর থেকে জীবন্ত পূর্ণবয়স্ক ইলিশ সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিতে উচ্চ গুণগত মানের জিনোমিক ডিএনএ প্রস্তুত করেন। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জিনোম সিকোয়েন্সিং সেন্টারে সংগৃহীত ইলিশের পৃথকভাবে প্রাথমিক ডেটা সংগ্রহ করে। এরপর বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সার্ভার কম্পিউটারে বিভিন্ন বায়োইনফরম্যাটিক্স প্রোগ্রাম ব্যবহার করে সংগৃহীত প্রাথমিক ডেটা থেকে ইলিশের পূর্ণাঙ্গ নতুন জিনোম বিশ্লেষণ সম্পন্ন করে।

অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বে গবেষক দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা, বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. শহিদুল ইসলাম ও ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. মুহা. গোলাম কাদের খান।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: