বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
গ্রামীণফোনের সব ধরনের সিম বিক্রিতে বিটিআরসির নিষেধাজ্ঞা

গ্রামীণফোনের সব ধরনের সিম বিক্রিতে বিটিআরসির নিষেধাজ্ঞা

amarsurma.com

আমার সুরমা ডটকম:

গ্রামীণফোনের নতুন ও পুরোনো সব ধরনের সিম রেজিস্ট্রেশন/বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গ্রাহকসেবার মান না বাড়ানোর অভিযোগে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর কোম্পানিটির ওপর আজ রোববার দ্বিতীয় দফায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, প্রথমে অপারেটরটিকে কোনো ধরনের নতুন সিম বিক্রি করতে পারবে না বলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। পরে গ্রামীণফোনের অনুরোধে ১৩ লাখ অব্যবহৃত সিম বিক্রির সুযোগ দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু আজ সেই সুযোগও রহিত করা হলো। ফলে গ্রামীণফোন নতুন-পুরোনো কোনো সিমই বিক্রি করতে পারবে না।
বিটিআরসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা (চলতি বছরের মে পর্যন্ত) আট কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার। এই বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী থাকা সত্ত্বেও অপারেটরটির বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ এসেছে, তারা বিটিআরসি থেকে যে স্প্রেকট্রাম বরাদ্দ নিয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। এ ছাড়াও ঘন ঘন কল ড্রপ, ফোরজি কভারেজ না বাড়ানো, বিটিআরসির পাওনা নিষ্পত্তি না করাসহ অপারেটরটির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছে কমিশন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা চেষ্টা করেও গ্রামীণফোনের সেবার মান ভালো করার কোনো উদ্যোগ নিতে দেখিনি। তারা গ্রাহক বাড়াবে, কিন্তু সেবার মান বাড়াবে না- এটা হতে দেওয়া যাবে না। যতদিন না তারা সেবার মান ভালো করবে এবং তা সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত না হবে ততদিন গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির প্রথম নিষেধাজ্ঞা আসে গত ২৯ জুন।
গ্রামীণফোনকে দেওয়া বিটিআরসির চিঠিতে বলা হয়েছিল, বিটিআরসির পরীক্ষায় গ্রামীণফোনের সেবার মান সন্তোষজনক মনে হয়নি। তাই প্রতিষ্ঠানটির সিম বিক্রি করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এরই মধ্যে গত ২৬ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্টে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক সরবরাহের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট করে ‘ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই রিট আবেদনটির শুনানি মুলতবি রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে বিটিআরসি যে কোনো সিম বিক্রিতে এই নিষেধাজ্ঞা দিল।
ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির ও মোহাম্মদ ইমরুল কায়েস খান ওই রিট করেন। এর আগের দিন একই দাবিতে বেসরকারি টেলিকম সেবা কোম্পানি গ্রামীণফোনসহ সব অপারেটর কোম্পানিকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির ও মোহাম্মদ ইমরুল কায়েস খান ই-মেইলে এ নোটিশ পাঠান। নোটিশে দ্রুত এ এলাকায় নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান করতে পুনঃস্থাপন নেটওয়ার্ক স্থাপন করা এবং বিরামহীনভাবে নেটওয়ার্ক চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসি, গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক বরাবর নোটিশটি পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে পরে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নোটিশে বলা হয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট হলো বিচারপ্রার্থীদের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। এখানে হাজার হাজার আইনজীবী তাদের পেশাগত কাজ করছেন। বিচারপ্রার্থীসহ দেশের অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন এই অঙ্গনে আসছেন। শতাধিক বিচারপতি তাদের বিচারিক কাজ করছেন। এখানে আসা প্রত্যেকেই তাদের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন। পেশাগত কাজে অনেকেই তাদের মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। সম্প্রতি এই অঙ্গনে সব অপারেটরের নেটওয়ার্ক না থাকায় কাজে বিঘ্ন ঘটছে। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সেবা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। এ অবস্থায় দ্রুত এ সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: