শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫৪ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
গ্রিক দেবির মূর্তি না সরালে ঢাকা অচল করে দেয়া হবে: হেফাজত

গ্রিক দেবির মূর্তি না সরালে ঢাকা অচল করে দেয়া হবে: হেফাজত

আমার সুরমা ডটকমসুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে গ্রিক দেবির মূর্তি স্থাপনকে কেন্দ্র করে আবারো সরগরম হেফাজত ইসলাম। ঢাকা অচলের হুমকিসহ সরকারের প্রতি নানান হুঁশিয়ারি দিচ্ছে সংগঠনটি। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে হাঁকডাক দিচ্ছেন হেফাজত নেতারা। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের উত্তর গেইটে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গন থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ থেকে ঢাকা মহানগরেরর সভাপতি মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমী বলেছেন, সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গন থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণ করা না হলে, শাপলা চত্বরে কোটি মানুষ একত্রিত হয়ে ঢাকাকে অচল করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গন থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণ করা না হলে ২০১৩ সালের ৫ মের মতো আবারও রাজধানীর শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে হেফাজত ইসলাম। কাসেমী বলেন, ‘আজকে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলতে চায়, মূর্তি স্থাপন করতে চায়, তারা গাদ্দারি করছে। মূর্তি ন্যায় বিচারের প্রতিক নয়। এটা কোনো মুসলমান মেনে নেবেনা। অবিলম্বে মূর্তি অপসারণ করুন, অন্যথায় আমাদের আমির যে কোনো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। সে কর্মসূচি সফল করবো আমরা। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মাহফুজুল হক, আহমদ আব্দুল কাদের, মজিবুর রহমান হামিদী, আব্দুর রব ইফসুফি, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা ফজলুল করিম, মাওলানা আতাউল্লাহ প্রমুখ।

শুক্রবার বাদজুমা চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেট চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ হেফাজতের নেতারা বলেন, সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সামনে গ্রিক দেবির মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের গণমানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, সংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও আদর্শিক চেতনার বিপরীত। কোনো মুসলমান মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক বিশ্বাস করলে তার ঈমান থাকবে না। অবিলম্বে এই মূর্তি অপসারণ করতে হবে না হলে ঈমান, আক্বীদা ও ঐতিহ্য রক্ষার লক্ষ্যে মূর্তি অপসারণের দাবীতে প্রয়োজনে লাখ লাখ মানুষ নিয়ে ঢাকা ঘেরাও করা হবে। বক্তারা বলেন, মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরী বানানো হচ্ছে কার স্বার্থে? দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাস্কার্যের নামে মূর্তি তৈরী করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যারা মূর্তির পক্ষে কথা বলছেন  তারা জনবিচ্ছিন্ন। এরা নাস্তিকদের দালাল। মূর্তি ও অপসংস্কৃতি চর্চা থেকে সরকারকে বের হয়ে আসতে হবে। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশের মূর্তি সংস্কৃতি কেন? মূর্তি ও অপসংস্কৃতি দুটিই ইসলামবিরোধী। মূর্তি ও অপসংস্কৃতিকে বৈধ মনে করলে মুসলমানিত্ব থাকবে না। ইসলাম এসেছে মূর্তিরপুজার বিরুদ্ধে। রাসূল সা. বলেছেন, আমি প্রেরিত হয়েছি মূর্তির ভাঙ্গার জন্য।

বিক্ষোভ সমাবেশে আগামী ১০ মার্চ সারাদেশের জেলা সদর ও  মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসুচী ঘোষনা করা হয় । কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা লোকমান হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী, কেন্দ্রীয় সংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা হাজী মুজাম্মেল হক, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা ক্বারী মুবিনুল হক, মাওলানা বরকত উল্লাহ বাবুনগরী প্রমূখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: