শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৯ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
চন্দ্রসোনারথাল হাওর বাঁধে স্থানীয় জমির মালিকদের পিআইসিতে অন্তর্ভূক্ত করণের দাবীতে মানববন্ধন

চন্দ্রসোনারথাল হাওর বাঁধে স্থানীয় জমির মালিকদের পিআইসিতে অন্তর্ভূক্ত করণের দাবীতে মানববন্ধন

amarsurma.com

সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনারথাল হাওর রক্ষায় পাউবো বাঁধে কৃষিজমির স্থানীয় মালিকদের অন্তর্ভূক্ত করণের দাবীতে গতকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকালে মানববন্ধন করেছে জয়শ্রী ইউনিয়নের সানবাড়ি ও রাজাপুর গ্রামবাসী। মানববন্ধনে দুই গ্রামের শতাধিক কৃষক অংশ নেন।
এতে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সানবাড়ি গ্রামের সম্রাট চৌধুরী, পরিমল মজুমদার, গোপিকা রঞ্জন তালুকদার, রাজাপুর গ্রামের মোশাররফ আহমেদ নবীন, আব্দুল মতলিব প্রমূখ। বক্তারা বলেন, স্থানীয় টংগীরবাঁধ থেকে সানবাড়ি শ্মশানঘাট এলাকাজুড়ে এই চন্দ্রসোনারথাল হাওরে সানবাড়ি ও রাজাপুর উভয় গ্রামের অধিকাংশ ধানের জমি রয়েছে। হাওরের একপাশে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য  অনুমোদিত ৪টি বাঁধ প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। ৫৫, ৫৬, ৫৭, ৫৯নং এই চার পিআইসির বাঁধ নির্মান হবে সানবাড়ি ও রাজাপুর গ্রামের জমির মালিকদের রেকর্ডীয় ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গার উপর দিয়ে। বাঁধের জন্য মাটিও আনা হবে উক্ত দুই গ্রামের কৃষকদের নিজস্ব জমি থেকে। অথচ পিআইসি কমিটি অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে প্রায় ৪/৫ কি.মি. দূরবর্তী লোকদের নিয়ে। নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধের নিকটবর্তী জমির মালিকদের উপেক্ষা করে দূুর থেকে ভাড়াটিয়া পিআইসি অন্তর্ভূক্ত করণ এটা মেনে যায় না।
বক্তারা আরো বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ৫৫নং, ৫৬নং, ৫৭নং, ৫৮নং প্রকল্প সদ্য অনুমোদন হলেও কমিটি এখনও চুড়ান্ত হয়নি। সম্প্রতি পাউবো’র হাওরবাঁধে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশনায় ৪কি.মি. দূরের গ্রামের লোক এনে ৫৬নং প্রকল্পে কাজ শুরু করানো হয়েছে। অথচ এই চারটি প্রকল্পের বাঁধ নির্মানের নির্ধারিত অধিকাংশ জমিই সানবাড়ি ও রাজাপুর গ্রামবাসীর। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এই দুই গ্রামের কাউকেই এতে সম্পৃক্ত করা হয়নি। তাই  এবিষয়ে আপত্তি জানিয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তারা দূরবর্তী স্থানের লোক এনে পিআইসি কমিটি গঠনের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বক্তারা  বলেন, হাওর বাঁধের  নিকটবর্তী এই দুই গ্রামের জমির মালিকদের পিআইসিতে অন্তর্ভূক্ত না করা হলে তারা আদালতের দারস্থ হবেন।
স্থানীয়দের প্রবল আপত্তি থাকা সত্ত্বেও দূরবর্তী লোকদের এনে পিআইসি কমিটি অনুমোদনের ব্যাপারে  ধর্মপাশা উপজেলার পাউবোর দায়িত্বরত শাখা কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমিও দেখতেছি, ইউএনও স্যারকেও অবগত করুন।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু তালেব (এসিল্যান্ড) বলেন,  এ রকম একটি অভিযোগ এসেছে। তারা জমির কাগজপত্র দিয়েছেন। কমিটিগুলো এখনও ফাইনাল করা হয়নি। আমরা যাচাই বাছাই করে দেখতেছি। তবে সাইটে গিয়ে প্রকল্পগুলো যাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি এই হাওরে তাদেরও জমি আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: