আমার সুরমা ডটকম : দিরাইয়ে প্রতিমা বিসর্জনে জোরপূর্বক নৌকা নেয়া, প্রতিমা বিসর্জনের বিষয়ে কথা কাটাকাটি ও পূর্ব শত্র“তার জের ধরে পৃথক সংঘর্ষে নারীসহ ২৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, গুরুতর আহত ৭ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ থানায় আসেনি বলে নিশ্চিত করেছেন দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বায়েছ আলম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর শুক্রবার প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চান্দপুর গ্রামের সুকমল বর্মণের পুত্র রামকৃষ্ণ বর্মণ ও একই পাড়ার অমলেন্দু বর্মণের পুত্র অনুপের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে নারীসহ ১০ জন আহত হয়। এরমধ্যে গুরুতর আহত ৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলেন মৃত অমরচান বর্মণের পুত্র অমলেন্দু বর্মণ (৫৫), তার ছেলে অনুপ বর্মণ (২৯), রতন বর্মণের পুত্র মিলন বর্মণ (২৫), ভাগিরতী বর্মণের পুত্র কাঞ্চন বর্মণ (৫০), মৃত সচিন্দ্র বর্মণের পুত্র জীবন বর্মণ (৪৫), নগেন্দ্র বর্মণের স্ত্রী রাণী বর্মণ (৬০), তার পুত্র নকুল বর্মণ (৩৫), সুকমল বর্মণের স্ত্রী সবিতা বর্মণ (৫০) ও তার পুত্র রামকৃষ্ণ বর্মণ (২৩), অবনী মোহন বর্মণের পুত্র অজয় বর্মণ (২৩)। এরমধ্যে গুরুতর আহত মৃত সচিন্দ্র বর্মণের পুত্র জীবন বর্মণ, নগেন্দ্র বর্মণের স্ত্রী রাণী বর্মণ ও তার পুত্র নকুল বর্মণকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ২৪ অক্টোবর শনিবার দুপুরে দিরাই বাজারের ব্রিজ সংলগ্ন নৌকাঘাটে প্রতিমা বিসর্জনে জোরপূর্বক নৌকা নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করলে পৌরসভার হারানপুরের লোকজনের সাথে নৌকার মাঝি ও যাত্রীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়, এরমধ্যে গুরুতর আহত ২ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলেন পৌরসভার হারানপুর গ্রামের বিজয় নন্দীর পুত্র রঞ্জন নন্দী (৩০) ও হরিদাস বণিকের পুত্র মানিক বণিক (৫৮)। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে, তবে তাদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। নৌকার মাঝি ও কয়েকজন যাত্রী জানান, প্রতিমা বিসর্জন দিতে হারানপুর গ্রামের কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক জোরপূর্বক নৌকা নেয়ার চেষ্টা করে। তাতে বাধা দিলে এসব যুবক অতর্কিত হামলা চালায় মাঝি ও যাত্রীদের ওপর। এমনকি নৌকায় থাকা মালামালও নদীতে ফেলে দেয় বলে জানান কয়েকজন।
অন্যদিকে ২৫ অক্টোবর রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা ভাটিপাড়া গ্রামের পূর্ব শত্র“তার জের ধরে এক সংঘর্ষে নারীসহ ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয় যায়, গুরুতর আহত ২ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, গ্রামের ছানাত ও শাহাগীরের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একই জায়গার মালিকানার দাবী নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছে। এর জের ধরেই আজ সকাল ১০টায় উভয়পক্ষই সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ৭ জন আহত হয়। আহতরা হলেন মৃত মজু মিয়ার স্ত্রী ছানা বেগম (৬০), জাহিনুর রহমানের স্ত্রী মেবি বেগম (৩৫) ও হান্নান মিয়ার ছেলে ফরহাদ মিয়া (২৫)। এরমধ্যে গুরুতর আহত ছানা বেগম ও মেবি বেগমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎিসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বায়েছ আলম জানান, ভাটিপাড়ার সংঘর্ষের খবর আমার জানা নেই, আর বাকীগুলোর কোন অভিযোগ থানায় এখন পর্যন্ত আসেনি।