শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
দিরাইয়ে ভিজিএফের ৩০ বস্তা চাল আত্মসাতের অভিযোগে বিতরণ বন্ধ

দিরাইয়ে ভিজিএফের ৩০ বস্তা চাল আত্মসাতের অভিযোগে বিতরণ বন্ধ

আমার সুরমা ডটকমঅকাল বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের মধ্যে ভিজিএফের ৩০ বস্তা চাল বিতরণ না করে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে। শনিবার তদারকি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) উপজেলা কৃষি উপ-সহকারি রনধীর চন্দ্র দাস সরেজমিন উপস্থিত হয়ে এর সত্যতা পান। এ ঘটনায় তাড়ল ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, তাড়ল ইউনিয়নের ৮নং ও ৯নং ওয়ার্ডের অকাল বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের মধ্যে বিতরণের লক্ষ্যে ভিজিএফের ১৫ মেট্রিকটন ও ভিজিডির ৬ মেট্রিকটন ৩শ কেজি মোট ১৭০ বস্তা চাল উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে ২৮ জুন চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস ও ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আজিজুর রহমান গ্রহণ করে নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মজুদ করেন। শনিবার এসব চাল বিতরণের কথা থাকলেও তা না করে বিতরণের আগেই ৩০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দেন বলে জানান ইউপি সদস্য মিলন মিয়াসহ কয়েকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ট্যাগ অফিসার রনধীর চন্দ্র দাস। রনধীর চন্দ্র দাস জানান, আমি খবর পেয়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই, গিয়ে দেখি ১৭০ বস্তা চালের মধ্যে ৮২ বস্তা চাল মজুদ আছে, ৫৮ বস্তা খালি পাই। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস বলেন, নৌকায় লোড না মানার কারণে দিরাই বাজারের ব্যবসায়ি বাদলের দোকানে ৩০ বস্তা চাল রেখে যাই, আজ (শনিবার) এই চাল নেয়া হবে। আত্মসাতের বিষয়টি তিনি গুজব বলে উড়িয়ে দেন।
এলাকাবাসির সূত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস, ইউপি সদস্য লাল মিয়া ও শিমুল মিয়াকে নিয়ে শুরু থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ বাণিজ্য ও ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন ভাতা প্রদানে অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন। ৩০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির ঘটনায় ইউপি সদস্য লাল মিয়া ও শিমুলের হাত রয়েছে বলে একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়। কিন্তু চাল আত্মসাতের খবরের সত্যতা পাওয়া গেলে এর থেকে বাঁচতে চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস, ইউপি সদস্য লাল মিয়া ও শিমুল মিয়া নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন।
তাড়ল ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুসের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামান পাবেল বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসছে, প্রথমে চাল উদ্ধারে জোর দেয়া হচ্ছে, পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে চাল বিতরণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হচ্ছে, কিন্তু তাড়ল ইউনিয়নে শুরু থেকেই চেয়ারম্যান বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়াচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: