শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরিফ নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উত্তেজনা

ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরিফ নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উত্তেজনা

nnnnnnআমার সুরমা ডটকমফেইসবুকে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে ব্রাহ্মণবড়িয়ার নাসিরনগরে  মন্দির ভাঙা হয়েছে। ভাংচুর-লুটপাট হয়েছে হিন্দুদের শতাধিক ঘর। শুক্রবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত এ হামলা চলে বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকায় র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিকালে জেলা প্রশাসক রেজাওয়ানুর রহমান ও পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ জানায়, শুক্রবার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাস তার ফেইসবুক পাতায় ‘কাবা শরিফের উপরে শিবমূর্তি বসিয়ে’ একটি পোস্ট দেন। এ নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ জানালে রসরাজকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরিফ নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র করে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে আটক রসরাজ দাস (৩০) নামে এক যুবকের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরসহ নাসিরনগর উপজেলা। নাসিরনগরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রোববার সকালে সেখানে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে ওই যুবকের ফাঁসির দাবিতে স্থানীয়রা সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত। তবে রোববার দুপুর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ১২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. শাহ্ আলী বলেন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুরোধক্রমে নাসিরনগরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাকি রাখতে এক প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। আটক রসরাজের ফাঁসির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরেও বিক্ষোভ করেছে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশও করে তারা। এদিকে সদর উপজেলার কাছাইট গ্রামেও বিক্ষোভ মিছিলের খবর পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, দুপুরে কয়েকশ লোক সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। পরে অন্যান্য বাহিনীও আনা হয় বলে জানান এসপি। একটি ‘সুযোগ সন্ধানী’ মহল সরকারকে বিব্রত করতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে দাবি করে এসপি মিজানুর এর জন্য জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করেছেন। “এ ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” বলেন এসপি মিজানুর। প্রতিটি ভাংচুরের ঘটনায় আলাদা মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে এসপি মিজানুর বলেন, ইতোমধ্যে ছয় হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ আলী জানান, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুরোধে আইনশৃখংলা রক্ষার জন্যে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক রেজাওয়ানুর রহমান জানান, এলাকায় র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন দেব বলেন, বিকালের পর পরিস্থিতি দৃশ্যত শান্ত হলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ‌্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।’ উল্লেখ্য, শনিবার নাসিরনগর উজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাস তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পবিত্র কাবা শরীফের উপরে শিবমূর্তি বসিয়ে একটি পোস্ট দেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করলে পুলিশ রসরাজকে আটক করে। এ ঘটনার পর থেকেই রসরাজের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষুব্দ হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: