শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
বর্ষবরণ ঘিরে সারাদেশে র‌্যাবের নিরাপত্তা বলয়

বর্ষবরণ ঘিরে সারাদেশে র‌্যাবের নিরাপত্তা বলয়

amarsurma.com

আমার সুরমা ডটকম:

বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে সারাদেশে র‌্যাবের পক্ষ থেকে গড়ে তোলা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়। যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে প্রস্তুত এ বাহিনী।

রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বড় বড় সব ভেন্যু সিসিটিভির আওতায় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে র‌্যাব।

পহেলা বৈশাখ ঘিরে রমনা বটমূলে র‌্যাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের পর শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর আলম।
কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নববর্ষের বড় বড় ভেন্যুগুলোকে আমরা কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করেছি। এসব সেক্টরে আউটার প্যারামিটার পেট্রল থাকবে।

এ ছাড়া আমাদের মোবাইল পেট্রল, ভ্যাহিকেল পেট্রল, মোটরসাইকেল পেট্রল, অবজারভেশন পোস্ট থাকবে। রমনা বটমূলসহ গুরুত্বপূর্ণ সব ভেন্যুতে ডগ স্কোয়াডসহ বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সুইপিং করবে। রাজধানীসহ সারা দেশে যত ভেন্যু আছে সেগুলো নিরাপদ রাখার জন্য শতভাগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য আমরা ভেন্যুগুলোতে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করেছি।

বড় ভেন্যুতে মোবাইল কোর্টসহ মেডিকেল টিম থাকবে। রাজধানীর বাইরের ভেন্যুগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তায় সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্ম পেট্রল থাকবে।

র‌্যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক বলেন, ইতোমধ্যেই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করছি, যা চলমান আছে এবং অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।

শুক্রবার থেকেই বর্ষবরণ উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় র‌্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলছে এবং শনিবার থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে তা মনিটরিং করা হবে, যা নববর্ষের রাত ১০টা পর্যন্ত থাকবে।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখকে ঘিরে কোনো হুমকির খবর আমাদের কাছে নেই। রাজধানীতে র‌্যাবের পাঁচটি ব্যাটালিয়নের বেশির ভাগ কর্মকর্তাই নববর্ষের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।

কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নববর্ষ নির্বিঘ্নে উদযাপনে রমনায় স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, ইভটিজিং রোধে মোবাইল কোর্ট থাকছে। টহল, ফুট পেট্রল ও ওয়াচ টাওয়ার থাকছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি রমনা বটমূলের পাশে বয়স্ক, নারী ও শিশুদের বিশ্রামের জন্য বৈশাখী লাউঞ্জ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ক্লান্ত, বয়স্কদের পাশাপাশি নারী ও শিশুরা বিশ্রাম নিতে পারবেন।

তিনি বলেন, সবাই যেন কুইক মুভ করতে পারে, সে চেষ্টা আমাদের থাকবে। নববর্ষের অনুষ্ঠানে সাধারণত ব্যাগ বহন করতে দেয়া হয় না। এবারও ব্যাগ বহনে নিষধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

কারও সঙ্গে যদি ব্যাগ থাকে তাহলে সেটা সার্চ করতে সময় লেগে যায়। এতে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছতে দেরি হয়। এ ছাড়া ব্যাগে করে দুষ্ট লোকেরা অনেক কিছু নিয়ে আসতে পারে।
তবে শিশুদের জন্য খাবার নিয়ে আসা বা বিশেষ কোনো কারণে যদি ব্যাগ আনতেই হয় তাহলে তল্লাশি চালানোর সময় সেটি বিবেচনা করে দেখা হবে।

পহেলা বৈশাখে এসএমপির ১৩টি নির্দেশনা

পহেলা বৈশাখে এসএমপির ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতেহবে,মোটরসাইকেলে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসতে পারবেন। অন্যথায় চালক ছাড়া অন্য কোন আরোহী বহন করা যাবে না। মোটরসাইকেলে একযোগে বা দলগতভাবে চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি বা যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
মোটরসাইকেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ।ইতোমধ্যে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে নগরবাসীর জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ১৩টি নির্দেশনার মধ্যে মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে একথা বলা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পহেলা বৈশাখে উৎসবে নির্বিঘ্ন করতে সিলেটে জুড়ে নিরাপত্তা ছক চূড়ান্ত করেছে। এসব নির্দেশনার বাইরে কেউ কোনও ধরনের কার্যক্রম কিংবা অপচেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়। সিলেট জুড়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি কয়েক দফায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সিলেটে অনুষ্ঠান চলাকালিন সময়ে অনুষ্ঠান মঞ্চের আশপাশে থাকবে র‌্যাবের সাদা পোশাকের গোয়েন্দা টিম।নববর্ষের আগের দিন (আজ) শনিবার থেকে পুলিশের কর্মকর্তারাও মহানগরজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালাবেন। মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বাসানো হবে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি। গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকটি ইউনিট সার্বিক অবস্থা তদারকি করবে।

মহানগর পুলিশের ছয়টি থানাকে নিজ নিজ এলাকার নিরাপত্তা জোরদার ও অনুষ্ঠান আয়োজকদের সর্তক থাকার পাশাপাশি অনুষ্ঠান চলাকালিন সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সিলেট মহানগরী এলাকায় সব ধরণের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জেদান আল মুসা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মহানগরীর বাসিন্দাদের সর্তক করে ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বর্ষবরণের দিন কোনও ধরণের আতশবাজি, পটকা ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাবে না। পুলিশের নির্দেশনার বাইরে কেউ কোনও কাজ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে ব্যাগ, থলে, পোটলা, সুটকেস, টিফিন ক্যারিয়ার বা এ জাতীয় কোন বস্তু বহন না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও খোলা ট্রাকে বাদ্যযন্ত্র বা সাউন্ড বক্স নিয়ে সিলেট মহানগর এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না এবং কোনও ধরণের রং ছিটানো যাবে না। অনুমোদিত অনুষ্ঠান আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সিসিটিভি স্থাপন/ ভিডিওচিত্র ধারণ এর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পুলিশের দেওয়া নির্দেশনা রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।’

amarsurma.com

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: