শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বড় মাদ্রসায় ছাত্রলীগের হামলা: হাফেজ নিহত, বিজিবি মোতায়েন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বড় মাদ্রসায় ছাত্রলীগের হামলা: হাফেজ নিহত, বিজিবি মোতায়েন

182225_1 (1)আমার সুরমা ডটকম : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় ছাত্রলীগ সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে হেদায়াতুন্নাহু জামাতের (শ্রেণীর) ছাত্র হাফেজ মাসউদ আহমদ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও অর্ধশতাধিক মাদ্রাসা ছাত্রসহ সাংবাদিক-পুলিশ-এলাকাবাসীও আহত হয়েছেন। সোমবার বিকালে শহরের রেলগেট এলাকার জেলা পরিষদ মার্কেটের বিজয় টেলিকমের মালিক ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসী রনি আহমেদ জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার ছাত্র মোশাররফকে মারধর করে। এ ঘটনার খবর পেয়ে একদল মাদ্রাসা ছাত্ররা বিজয় টেলিকমে গিয়ে একজন তালবে এলেমের গায়ে হাত তোলার দুঃসাহসের কৈফিয়ত তলব করে। তখন আশেপাশের দোকানদার নিয়ে রনি মাদ্রাসা ছাত্রদের উপর আক্রমণ চালায় এবং অশ্লীল গালাগাল করে। তখন মাদ্রাসা ছাত্ররা রনিকে কয়েকটি থাপ্পড় দেয়।
এ ঘটনার পরপরই পার্শ্ববর্তী শিমরাইলকান্দি থেকে ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের নিয়ে জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা ঘেরাও করে গুলি ও ককটেল ছুড়তে থাকে৷ এ সময় সন্ত্রাসী হামলা থেকে নিরস্ত্র মাদ্রাসা ছাত্রদের প্রাণ বাঁচাতে মাদ্রাসার মাইক থেকে এলাকাবাসীর সাহায্য চাওয়া হলে কান্দিপাড়ার জনসাধারণ মাদ্রাসা রক্ষায় ছুটে আসে। তখন জনরোষ থেকে ছাত্রলীগকে রক্ষায় পুলিশ এলাকাবাসীদের ধাওয়া করে। পুলিশ মাদ্রাসা লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও গুলি ছোঁড়ে বলেও স্থানীয় একাধিত সূত্রের দাবি।
জানা গেছে, সংঘর্ষ চলার সময় দেশটিভির মাসুক হৃদয়, এসএ টিভির মনিরুজ্জামান পলাশ ও একুশে টিভির মীর শাহীন আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন টিএ রোডে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমবেত হয়। টিএ রোড-মাদ্রাসা রোডে অর্ধশত হাতবোমার বিস্ফোরণ, বাড়িঘরে ইটপাটকেল নিক্ষেপের মধ্যদিয়ে আক্রমণ শুরু করে তারা। এতে এলাকার নারী-শিশুরা আতংকিত হয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কিছু বাড়ির জানালার কাচ ভাংচুর করা হয়। একপর্যায়ে মাদ্রাসাছাত্ররা মাদ্রাসা বিল্ডিং, আশপাশের ছাদে ওঠে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ছাত্রলীগকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। রাত ১১টার পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সংঘর্ষে ২০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত কনস্টেবল রাজিব চন্দ্র দাশকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে থানার এএসপি তাপস রঞ্জন ঘোষ, পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন, কনস্টেবল মো. সামদানি, মিজানুর রহমান, রাজিব মিয়াও আহত হন বলেও জানান ওসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: