আমরা আমাদের মসজিদের মিম্বার থেকে স্পষ্ট ভাষায় তাদেরকে বলছি, ‘হে মুসলমানরা, তোমরা মুনাফিক ও বেইমানদের অনুষ্ঠানকে বর্জন করো৷

যারা আল্লাহর নাফরমানি এবং সমাজের মধ্যে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনাকে চালু করছে তোমরা তাদেরকে বয়কট করো৷’

আমরা ওই কথায়ই বলব, যা আমাদের পূর্বসূরি বড় বড় উলামায়ে কিরাম বলে গেছেন। তাঁরা বলেছেন, ‘তোমরা যেকোনো ধরণের গোনাহের অনুষ্ঠানকে বর্জন করো৷
এবং ওইসব মানুষদের অনুষ্ঠানকে বর্জন করো, যাদের কর্মপদ্ধতি সন্দেহযুক্ত।

তাদেরকেও বর্জন করো, যারা নারীদেরকে রাস্তায় বের করে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনুমতি দেয়। যারা নারীদেরকে উলঙ্গপনার দিকে আহ্বান করে, যারা নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার দিকে উৎসাহিত করে বর্তমান সমাজে ফাসাদ শুরু করেছে, তাদেরকেও বয়কট করো।

যারা নেশাযুক্ত পানীয়কে বৈধতা দান করে, তাদেরকে বয়কট করো৷

আপনারা পরিপূর্ণভাবে গান-বাজনা এবং কমেডি, কৌতুক ও সিনেমার অনুষ্ঠানকে বয়কট করুন৷

যারা এই সিনেমা ও কমেডি চালু করেছে তারা যদিও এটাকে নিছক বিনোদন মনে করে ৷ অথচ, এটা কেবল বিনোদন নয়; বরং এই সিনেমার অনুমোদন দ্বারা একমাত্র উদ্দেশ্য হলো, পশ্চিমা চিন্তা-চেতনাকে লালন করা এবং সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পশ্চিমা আদর্শ ও নীতিকে ঢুকিয়ে দেওয়া৷

এসব নাচ-গান এবং কমেডি নাটক-সিনেমার অনুমোদন ইসলামি শরিয়তে একেবারে নাই। ইসলামি নীতিতে এসব কাজ হারাম; ইসলাম এর অনুমোদন প্রদান করে না৷

তারা অশ্লীলতাকে বিনোদন নামের পোষাক পরিয়ে এবং বেহায়াপনাকে মুক্তচিন্তা-চেতনার চাদর পরিয়ে উপস্থাপন করছে ৷ অথচ, এই বিনোদন দ্বারা কেবল এটাই উদ্দেশ্য, যেন তারা যুবক-যুবতীদেরকে নাচ-গান, বেহায়াপনা, অশ্লীলতা ও ইখতিলাত অর্থাৎ অবাদ মেলামেশার দিকে মাজনুন তথা পাগলপারা বানিয়ে দিতে পারে৷

তাদের এই অসৎ উদ্যোগ পবিত্র এই ভূমির জন্য খুবই লজ্জাজনক বিষয় এবং এই পবিত্র ভূমিকে লাঞ্ছিত করার শামিল।

তাদের এই অসৎ উদ্যেগ ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ সংকেত। এমন এক সময় আসবে, যখন এই বেহায়াপনায় ‘কুদওয়াতুন লিশ্শাবাব’ তথা যুবকদের উত্তম মডেল হিসাবে স্থান পাবে৷

হে সীমাহীন চরমপন্থীরা,
তোমরা জনগণের ধন-সম্পদকে অন্যায়ভাবে, অহেতুক পাপ কাজে খরচ করছ; এতে না আছে জনগণের কোনোরকম উপকারের ছিটাফোঁটা আর না আছে জনগণের কল্যাণ৷

হে চরমপন্থীরা,
যদি তোমরা জনগণের পয়সাকে পাপকাজে খরচ করা বন্ধ না করো, তাহলে একদিন আসবে যেদিন এই অপরাদ ও পাপ তোমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে এবং তোমাদের জন্য বড়ই আফসোসের কারণ হবে; ফলে তোমরা পরাজয় বরণ করবে৷

হ্যাঁ, হ্যাঁ, অচিরেই তোমাদের শক্তি এবং আদর্শের পরাজয় হবে৷

তোমাদেরকে তারাই পরাজিত করবে, যারা সর্বদাই দীনের উপর অটল থাকে। তারাই একদিন তোমাদের বিনোদন নামক বেহায়পানা ও অশ্লীলতাকে ময়লা-আবর্জনার ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করবে; তাদের নিজেদের উত্তম আদর্শ এবং সঠিক নিয়ত ও ইসলামি আকিদার মাধ্যমে৷

অচিরেই তোমাদের অশ্লীলতার মঞ্চকে কুরআনের ধারক-বাহকগণ উত্তম আদর্শের যুদ্ধের মাধ্যমে পরাজিত করবে৷

অচিরেই তোমাদেরকে পরাজিত করবে ওই আল্লাহু আকবার ধ্বনীর আওয়াজ, যা দিবারাত্রি পাঁচবার কানে ভেসে আসে এবং আমাদের অন্তরে এই পবিত্র আওয়াজের বাতাস প্রবাহিত হয় ও চক্ষু শীতল হয়৷’

ইন্টারনেটে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার কারণ হিসাবে এতটুকু ভাষণই উল্লেখ করা হয়েছে।