শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৬ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
মুখমণ্ডলসহ পুরো শরীর পশমে ভরা শিশু বীথির

মুখমণ্ডলসহ পুরো শরীর পশমে ভরা শিশু বীথির

bhithiআমার সুরমা ডটকম নাম বীথি আক্তার (১২)। জন্ম থেকে সারা শরীরে বড় বড় পশম। মুখমণ্ডলসহ পুরো শরীরই তার পশমে ঢেঁকে রয়েছে। গত এক বছরে বীথির শরীরে দেখা দেয় নতুন সমস্যা। তার স্তন অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে। এখন তা নেমে গেছে পেটের নিচ পর্যন্ত। স্তনের ভারে সোজা হয়ে হাঁটতে পারে না। প্রচণ্ড ব্যথার যন্ত্রণায় চিৎকার করে সবসময় কান্নাকাটি করে বীথি। অবশেষে দিনমজুর বাবা মেয়ের কষ্ট আর সহ্য করতে না পেরে ঋণ করে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় আসেন। টাঙ্গাইলের স্থানীয় জয়ভোগ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে বীথি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বীথি বর্তমানে হরমোন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফরিদ উদ্দিনের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন-হরমোনজনিত কারণে তার এ সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসায় এ সমস্যা কিছুটা দূর হবে। কিন্তু প্রচুর টাকার প্রয়োজন।
বীথির বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বীথিকে নিয়ে খুবই বিপদের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। বীথি আমার বড় মেয়ে। জন্ম থেকে পশমের সমস্যা ছিল। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। এ অবস্থায় সে পড়ালেখা চালিয়ে গেছে। কিন্তু গত বছর থেকে তার স্তন অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে। এখন এর ব্যথায় সে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।’ বাবা বলেন, ‘টাঙ্গাইলে ভাড়ায় মোটরসাইকেল (অন্যের) চালিয়ে যা রোজগার করেন তাতে ছয়জনের সংসার কোনোমতে চলে যায়। বীথির চিকিৎসার জন্য ব্যাংক থেকে ২০ হাজার ও মানুষের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। সে টাকাও শেষ। সহায়-সম্বল বলতে আছে মাত্র বাড়ির জমিটুকু।’ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মুখে যেমন পশম দেখছেন, তেমনি বীথির  সারা শরীর পশমে ঢাকা। ১১ বছর বয়সে তার মাসিক হয়েছে। এই এক বছরে তার স্তন এত বড় হয়েছে যে, হাঁটাচলাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। সেই চিকিৎসাও ডাক্তাররা করবেন বলেছেন। ডাক্তাররা বলেছেন, হরমোনের কারণে তার শরীরে পশম হয়েছে।’
বীথির মা বিউটি আক্তার বলেন, ‘গাইনি বিভাগের ডাক্তাররা দেখছেন। আমার মেয়ের দুটো স্তন বড় হয়ে পেট পর্যন্ত নেমে গেছে। পশমের চাইতে এইডাই বড় সমস্যা। সে ঠিকমতো দাঁড়ায়ে থাকতে পারে না।’ অন্যের মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালিয়ে রাজ্জাক দিনে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা রোজগার করেন। মোটরসাইকেলের মালিককে প্রতিদিন দিতে হয় ৩০০ টাকা। বাকি দুই-আড়াই শত টাকা তার সংসারের খরচ চালাতেই ব্যয় হয়ে যায়। যদি কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি বীথির জন্য সহায়তা পাঠাতে চান তবে ০১৭২০৩৬৬৭৮৩ এই বিকাশ নম্বরে পাঠানোর জন্য তার বাবা আব্দুর রাজ্জাক ও মা বিউটি আক্তার বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: