শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৯ ফেব্রুয়ারি

amarsurma.com
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৯ ফেব্রুয়ারি

আমার সুরমা ডটকম:

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল ১২ ফেব্রুয়ারি এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) কমিশন বৈঠকের পর তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশননার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ব্যালটের মাধ্যমে। যেখানে ৩৪৩ জন সংসদ সদস্য ভোট প্রদান করবেন।
পরপর দু’বার দায়িত্ব পালন করায় রাষ্ট্রপতির পদে আর থাকছেন না মো. আব্দুল হামিদ। আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হচ্ছে তার মেয়াদ। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে শূন্য পদে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা আছে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আইন অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতের বিধান রয়েছে। সাক্ষাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন সংসদের বৈঠক নিশ্চিতকরণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘প্রেসিডেন্ট-পদের মেয়াদ অবসানের কারণে উক্ত পদ শ‚ন্য হইলে মেয়াদ-সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই হইতে ষাট দিনের মধ্যে শ‚ন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’
ইসি সুত্র জানান, বর্তমান প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৩ এপ্রিল। সেক্ষেত্রে সাংবিধানিকভাবে কমিশনকে মেয়াদ শেষের ৬০ দিন আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রæয়ারির মধ্যে ভোট করার প্রস্তুতি নেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। এর আগে ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি রাষ্ট্রের ২১তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন মো. আবদুল হামিদ।

সেক্ষেত্রে চলতি অধিবেশনেই হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আইন ১৯৯১ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এমপিদের ভোটে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাতে নির্বাচনী কর্তা হিসেবে কাজ করেন।
১৯৯১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আইনের সপ্তম ধারায় বলা হয়েছে- নির্বাচনী কর্মকর্তা নির্ধারিত দিন, সময় ও স্থানে মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করবেন। পরীক্ষার পরে একজনের মনোনয়নপত্র বৈধ থাকলে নির্বাচন কমিশন ওই ব্যক্তিকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবেন। তবে একাধিক ব্যক্তির মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাদের নাম ঘোষণা করবেন।

প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা থেকে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা (সংসদীয় গণতন্ত্র) চালুর পর ১৯৯১ সালে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় একবারই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা। পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী, একাধিক প্রার্থী হলে সংসদের অধিবেশন কক্ষে নির্বাচনী কর্তার সামনে নির্ধারিত ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও নিজের স্বাক্ষর দিয়ে তা জমা দিতে হবে। ভোটের দিন গ্যালারিসহ সংসদ কক্ষে প্রার্থী, ভোটার, ভোট নেওয়ায় সহায়তাকারী কর্মকর্তা ছাড়া সবার প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করবেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। ভোট শেষে নির্বাচন কমিশনার প্রকাশ্যে ভোট গণনা করবেন। সর্বাধিক সংখ্যক ভোটপ্রাপ্তকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর সমান ভোট পেলে প্রার্থীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ফল নির্ধারণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: