শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
লাফার্জের পরিবহন শ্রমিকের পক্ষে উচ্চ আদালতের রায়

লাফার্জের পরিবহন শ্রমিকের পক্ষে উচ্চ আদালতের রায়

চান মিয়া, বিশেষ প্রতিবেদক (সুনামগঞ্জ): ছাতকস্থ লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেডের ভারি যানবাহন শ্রমিকদের চাকুরি স্থায়ীকরনের দাবিতে ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ২য় শ্রম আদালতে পরিবহন শ্রমিক ২৩টি আইআর মামলা দায়ের করেন। এতে লাফার্জ কর্তৃপক্ষ মামলাগুলো খারিজের আবেদন করলে ২০১৪ সালের ২৫ ফেব্র“য়ারি ২য় শ্রম আদালত চট্টগ্রাম তা নামঞ্জুর করেন। পরে ঢাকা শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালে আপীল মামলা দায়ের করলে ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল লাফার্জের আপীল মামলাও ডিসমিস হয়ে যায়। এতে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে শ্রমিকদের বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বহাল রাখার আদেশ দেন। এরপরও শ্রমিকদের চাকুরী বহালও স্থায়ী না করে মাননীয় হাইকোর্টে রিট পিটিশন মামলা (নং-৮৬৮৪/২০১৪ইং) দায়ের করেন। দীর্ঘ ৩ বছর পর গত ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ উচ্চ আদালত আবারো শ্রমিকদের পক্ষে রায় ঘোষণা করেন। বিচারপতি তরিকুল হাকিম ও বিচারপতি এমডি ফারক (এম ফারুক) সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ নিম্ন আদালতকে শ্রমিকদের স্থায়ীকরন মামলা নিষ্পত্তি করার আদেশ দেন। এর সাথে তাদের বেতন-ভাতার আদেশ বহাল রাখেন। লাফার্জের পরিবহন শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির সভাপতি খালেদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী জানান, ৩ বছর যাবত রায়ের পরও বেতন-ভাতাদি না দিয়ে লাফার্জ কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের চরম হয়রানী করে যাচ্ছেন। তারা শ্রমিকদের হয়রানি করার সব পথই অবলম্বন করে অবশেষে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের এসব হয়রানিতে শ্রমিকরা অসহায়ভাবে মানবেতর জীবন করছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন কয়েকদফা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। অবশেষে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা বলেন, এ যাবত আদালতের ৩টি রায় পেয়েছেন। তাদের অধিকার আদায়ে আদালতের আশ্রয় নেয়া কি অপরাধ ছিল? যে অজুহাতে তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ করা হয়। তারা মামলার আগে লাফার্জকে বার বার লিখিতভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন। এতে তারা সাড়া না দিয়ে উল্টো তাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনও হুমকিসহ হয়রানী করার পথ বেছে নেয়া হয়। পরিশেষে তারা দেশের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, দেশে আর যেন কোন শ্রমিক হয়রানী না হয়। এক্ষেত্রে সবার সজাগ দৃষ্টি ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তারা। এছাড়া নেতৃবৃন্দ আদেশের সার্টিফাইড কপি হাতে পেলেই চট্টগ্রাম ২য় শ্রম আদালতে আইনী প্রক্রিয়া সেরে তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবেন বলে জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: