বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
শনিবার ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা

শনিবার ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা

we299আমার সুরমা ডটকম : শনিবার ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। মুসলিম উম্মাহর জন্য এক তাৎপর্যময় ও শোকাবহ দিন। হিজরি ৬১ সালের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে কারবালার ময়দানে শহীদ হন। এ ছাড়া এই দিনে হজরত মুসা (আ.) ফেরাউনের জুলুম থেকে পরিত্রাণ লাভ করেছিলেন তাঁর অনুসারীদের নিয়ে নীল নদ পার হয়ে। তাঁদের পশ্চাদ্ধাবনকারী ফেরাউন সদলবলে নীল নদে ডুবে যায়। এমন আরও অনেক তাৎপর্যময় ঘটনা ঘটেছিল এই দিনে। তবে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে কারবালার প্রান্তরে। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং তাঁর পরিবার ও অনুসারীরা যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের সুমহান আদর্শ সমুন্নত রাখতে তাঁদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী আমাদের অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে আজও অনুপ্রেরণা জোগায়। প্রেরণা জোগায় সত্য ও সুন্দরের পথে চলার। মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র আশুরা পালিত হবে। মদিনায় হিজরতের পর রাসুলুলল্লাহ (সা.) লক্ষ্য করেন যে, ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা রাখছে। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, এটা কোন দিন যাতে তোমরা রোজা রেখেছ? তারা বলল, এটা এমন এক মহান দিবস, যেদিন আল্লাহ তায়ালা হজরত মুসা (আ.) ও তার সম্প্রদায়কে মুক্তি প্রদান করেছিলেন, ফেরাউনকে তার সম্প্রদায়সহ ডুবিয়ে মেরেছিলেন। তাই হজরত মুসা (আ.) কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এদিন রোজা রাখেন, এজন্য আমরাও রোজা রাখি। একথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের চেয়ে আমরা মুসা (আ.)-এর অধিকতর ঘনিষ্ঠ ও নিকটবর্তী। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা রাখেন এবং অন্যদেরও রোজা রাখার নির্দেশ দেন’ (সহিহ মুসলিম, ১/৩৫৯)। হজরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রমজানের পর সব রোজার (নফল) মধ্যে আশুরার রোজা সর্বশ্রেষ্ঠ’ (জামে তিরমিযি ১/১৫৬)। পবিত্র আশুরার দিন রোজা রাখার ফযিলত সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি যে ব্যক্তি ‘আশুরা’ দিবসে রোজা রাখবে তার এক বছরের গুনাহের কাফ্ফারা (ক্ষমা) হয়ে যাবে’ (মুসলিম, ১/৩৬৭)। আশুরার দিন রোজা রাখলে ইহুদিদের সঙ্গে সাদৃশ্য হয়ে যায় বিধায় রাসুলুল্লাহ (সা.) তার আগের দিন বা পরের দিন আরেকটি রোজা রাখার পরামর্শ দেন (মুসনাদে আহমদ)। আশুরা উপলক্ষে দু’দিন রোজা রাখাই সুন্নাহ। এই হিসেবে আজ রাতে সেহরি খাবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। শনিবার দিনে তারা রোজা থাকবেন। পরদিনও অনেকে রোজা রাখবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: