দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের আকিলনগর গ্রামে ২২শে জুন বিকালে সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে জারলিয়া গ্রাম থেকে আকিলনগরের ২ জনকে গ্রেফতার করে। তারপর তারাপাশা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ধরতে পারেনি। পরে জগন্নাথপুর উপজেলার গাদিয়ালা গ্রামে রাতভর অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী।
জানা যায়,আবু সাইদ (৩০) নামে এক যুবক গুলিতে মারা গেছে। নিহত আবু সাইদের বাড়ি দিরাই উপজেলার তারাপাশা গ্রামের তাজ মিয়ার ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, আবু সাইদ গাদিয়ালা গ্রামে ইলেকট্রনিকের কাজ করতো। রোববার ২২ জুন সন্ধ্যার দিকে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ধরতে ইউনিয়নের আকিলনগর, জারলিয়া ও তারাপাশা গ্রামে যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার গাদ্দিয়ালা গ্রামে অবস্থান নেয়। সেখানে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এই গোলাগুলির মাঝেই গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ।
নিহত আবু সাঈদ একজন পেশাদার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। আবু সাঈদের স্বজনরা জানিয়েছেন, ইলেকট্রিকের কাজ করতে তিনি গাইদ্দালা গ্রামে গিয়েছিলেন। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত শুক্রবার (২০ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায় সন্ত্রাসীরা হাতিয়া গ্রামে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। মূলত হাতিয়া গ্রামের দুইটি প্রভাবশালী গ্রুপের মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রায়ই সংঘর্ষ ও আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া হয়। এসব ঘটনার একাধিক ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবারের ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি জোরদার করেছিল। তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।