আমার সুরমা ডটকম: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় বিজয়ী চেয়ারম্যানদের সংবর্ধনা সভায় আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেকমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি বলেছেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, প্রতিটি মসজিদ-মন্দির বাজারসহ এলাকায় জঙ্গিবাদ বিরোধি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হবে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, রাজনীতি যখন সৃজনশীল হয়না, তখন উন্নয়ন-শান্তি ও সমৃদ্ধ হয়না। পৃথিবীর রাজনীতি আজ কঠিন থেকে কঠিন হয়ে উঠছে, বিশ্ব আজ প্রতিনিয়ত রাজনীতি বদলাচ্ছে, আজ কাবুলে, কাল মক্কা শরীফে বোমা পড়ছে, ফ্রান্সে গুলি পড়ছে, জার্মানি-আমেরিকায় গোলাগুলি হচ্ছে। আমাদের দেশও বাদ নয়, গুলশানে নিরিহ বিদেশী মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, মানুষ মানুষকে এভাবে জবাই করে হত্যা করতে পারে আমরা কখনও ভাবিনি। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয়ের জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, আজ নানা ষড়যন্ত্র চলছে-আওয়ামীলীগ সরকার দৃঢ়ভাবে তা মোকাবেলা করছে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, রাজনীতি মানুষকে দেয়, কিন্তু অপরাজনীতি মানুষকে ধ্বংস করে, ধর্ম নিয়ে যারা রাজনীতি করে তারা আজ ধ্বংস হচ্ছে, রাজনীতি মানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করা। শনিবার দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে দলীয় নব নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও করিমপুর ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছাব উদ্দিন সরদারের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক বিকাশ রায়ের পরিচালনায় থানাপয়েন্টে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন ছাতক-দোয়ারবাজার আসনের মহিবুর রহমান মানিক এমপি, আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ, সিরাজ দৌলা তালুকদার, অভিরাম তালুকদার, আতাউর রহমান, রশিদ আহমদ বাচ্চু, রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী, দিরাই সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী, জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিবলী আহমদ বেগ, ভাটিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান কাজি, রফিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজওয়ান খান, পার্সি চৌধুরী, যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায়, তাজুল ইসলাম, জুয়েল মিয়া, রাজীব রায় প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, দিরাই পৌরসভার মেয়র মোঃ মোশাররফ মিয়াসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সেই শৈশব থেকে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে রাজনীতি শুরু করেছি, রাজনীতিই একমাত্র পথ, রাজনীতিতেই আমার জীবন শেষ হবে, আমি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে যেভাবে ভাবি, দিরাই-শাল্লাকে নিয়েও সেইভাবে ভাবি। এদেশে নিবাচন হবে, তা ২০১৯ সালের কাছাকাছি সময়েই হবে। আমি ১৯৭০ সাল থেকে ২০১৬ সাল ৪৬ বছর আপনাদের প্রতিনিধি ছিলাম, আমি উন্নয়ন করতে চাই, সেই উন্নয়ন হবে চেতনার ও শান্তির পক্ষের।