মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩

পাকিস্তানি মিডিয়ায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা!

amarsurma.com

আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:

বাংলাদেশের অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে পাকিস্তানী গণমাধ্যমে। পাকিস্তানের জাতীয় ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল’-এ নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশকে নিয়ে। সংবাদ মাধ্যমে গতকাল শনিবার প্রকাশিত ওই নিবন্ধে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে চিহ্নিত হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

নিবন্ধে বলা হয়, দুই দশক আগেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন মাথাপিছু আয় এবং মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) স্বল্প প্রবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো। বর্তমানে পাকিস্তানের চেয়েও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেশি। ভারতের পর বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হলো বাংলাদেশ। নিবন্ধে আরও বলা হয়, এ অঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষায় তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ একটি পোলিওমুক্ত দেশ। সম্প্রতি ডব্লিউএইচও নাইজেরিয়াকেও পোলিওমুক্ত ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ সামাজিক অগ্রগতির সঙ্গে অর্থনৈতিক নৈরাশার সংমিশ্রন ঘটিয়েছে। এ অঞ্চলের যে কোনো দেশের চেয়ে নারীদের মর্যাদা উন্নয়ন ও অধিকার সংরক্ষণে সবচেয়ে বেশি প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ।

নারীদের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে নিবন্ধে বলা হয়, ক্ষুদ্রঋণ দেয়া হয় মূলত নারীদের। এ ছাড়া সফলভাবে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি পরিচালনা করছে বাংলাদেশ। এতে শুধু শিশু মৃত্যুহারই কমেনি, বেড়েছে নারীর মর্যাদাও। প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবারের মধ্যে নারী সদস্যদের ভূমিকা আরও বেড়েছে। পরিবারের আকার কেমন হবে তার নিয়ন্ত্রণও এখন বাংলাদেশের নারীদের হাতে। নব্বইয়ের দশক থেকে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের উত্থান শুরু হয়। ওই সব প্রতিষ্ঠানে যেসব শ্রমিক কাজ করেন তাদের ৮০ শতাংশই নারী। এতে দেশটিতে নারীদের মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গে আয়ও বেড়েছে। বাংলাদেশে পুরুষদের চেয়ে নারীরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাবার ও শিশুর কল্যাণে বেশি ব্যয় করে।

দারিদ্র্য বিমোচনে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন তাতে সন্দেহ নেই কিন্তু দুই দশক আগেও যা তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশের মতো একটি দেশ প্রমাণ করেছে যে, অনেক প্রবৃদ্ধির জন্য অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। শুধু দরকার গৃহীত নীতির প্রতি আস্থা রেখে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার মনোভাব। বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশে সরকার ছাড়াও বড় বড় বেসরকারি সংস্থাগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এক দশক আগে বাংলাদেশের সামাজিক সাফল্য তার অর্থনৈতিক সাফল্যের চেয়ে বেশি ছিল। সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যয়ের কারণে তৈরি হওয়া মানবসম্পদ সেই দেশকে এখন টেকসই প্রবৃদ্ধির পথে ধাবিত করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: