শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩

চলে গেলেন প্রথিতযশা সাংবাদিক

amarsurma.com

আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:

প্রথিতযশা সাংবাদিক রবার্ট ফিস্ক (৭৪) আর নেই। দীর্ঘদিন রোগভোগের পর তিনি মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিশ্চিয়ান ব্রোটন।
মারা যাওয়ার আগে দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রতিনিধি ছিলেন বর্ষীয়ান এই সাংবাদিক। তাকে তার সময়ের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন সরকারের বর্ণনা এবং তাদের প্রকাশনা নিয়ে সাহসী প্রশ্ন করার জন্য তিনি ছিলেন সবার কাছে সুপরিচিত।
১৯৮৯ সালে তিনি লন্ডনের দ্য টাইমস পত্রিকা ছেড়ে যোগ দেন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায়। আর সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই সময়ের বিখ্যাত একজন লেখক ও সাংবাদিক হিসেবে স্বীকৃতি পান।
তার নামে একের পর এক আলোচিত খবর প্রকাশ হতে থাকে। তিনি আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে মারা যাওয়ার আগেও দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টে লিখেছেন। এ পত্রিকায় গত সপ্তাহ পর্যন্তও সম্পাদক ছিলেন ক্রিশ্চিয়ান ব্রোটন। তবে তিনি এখন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
তিনি রবার্ট ফিস্ক সম্পর্কে বলেছেন, ‘রবার্ট ফিস্ক ছিলেন ভয়হীন। কখনো আপস করেননি। তিনি ছিলেন স্থির সঙ্কল্পবদ্ধ। সত্য প্রকাশে তিনি ছিলেন নির্ভিক। যেকোন মূল্যে তিনি সত্য বলে দিতেন। তাই তিনি ছিলেন তার প্রজন্মের সেরা সাংবাদিক। তিনি দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টে যে শিখা জ্বালিয়ে গেছেন তা জ্বলতে থাকবে।’
রবার্ট ফিস্ক যেসব বিষয়ে লিখে গেছেন তার বেশির ভাগই বিতর্কিত। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইরাক আগ্রাসনের জন্য প্রস্তুত হলো। তখন রবার্ট ফিস্ক গেলেন নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দফতরে। সেখানে তিনি প্রত্যক্ষ করেন কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান করছেন। রবার্ট ফিস্ক লিখেছেন, যখন নিরাপত্তা পরিষদে পৌঁছলেন জেনারেল কলিন পাওয়েল তখন সেখানে ভীতিকর এক পরিবেশ ছিল। তিনি সেখানে প্রতিনিধিদের চিবুকে চুমু খাচ্ছিলেন আর তাদের দিকে তার বাহু প্রসারিত করছিলেন। তখনকার বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্রও সুন্দরভাবে আমেরিকান বিগ হাগে আবদ্ধ হলেন।
রবার্ট ফিস্কের জন্ম ব্রিটেনের কেন্টে। তিনি পড়াশোনা করেছেন ল্যাঙ্কাস্টার ইউনিভার্সিটিতে। সানডে এক্সপ্রেসের ফ্লিট স্ট্রিট দিয়ে তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি দ্য টাইমসের জন্য কাজ করেছেন। তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল এবং মধ্যপ্রাচ্যে দায়িত্ব পালন করেছেন। কয়েক দশক ধরে তিনি লেবাননের বৈরুতে অবস্থান করছিলেন।

সূত্র: বিবিসি নিউজ, দ্য উইক

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: