সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩
বাংলাদেশ প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখায় বিশ্বাসী: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখায় বিশ্বাসী: প্রধানমন্ত্রী

amarsurma.com

আমার সুরমা ডটকমপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্কে বিশ্বাস করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা স্বাভাবিক যে প্রতিবেশীদের সাথে সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতাও চলমান থাকবে এবং যেকোনো সমস্যাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা হবে।’ বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনার রফিউজ্জামান সিদ্দিকী আজ রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। বৈঠকের পরে প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সাথে সীমান্ত এবং সমুদ্রসীমা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছে। তিনি বলেন, ভারতের সংসদ সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত বিলটি সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন করেছে। ভারতের সাথে সমস্যাটির শান্তিপূর্ণ সমাধান সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। শেখ হাসিনা আরো উল্লেখ করেন, একইভাবে মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। আমরা শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত থেকে ৬২ হাজার শরণার্থী ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্রোহের অবসান ঘটিয়েছি। দারিদ্রকে এ অঞ্চলের প্রধান শক্র পুনরাল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের দেশগুলো থেকে দারিদ্রের মূলোৎপটনে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বরোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার সরকারের নেতৃত্বে বিগত সাড়ে আট বছরে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নেরও একটি খণ্ডচিত্র তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পরই কতগুলো নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যাই। যার মধ্যে রয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শিক্ষা এবং জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। যে কারণে জনগণ এখন এগুলোর সুফল পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসবের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কার্যকর নীতিমালা বিশেষ করে অর্থনৈতিক নীতিমালার দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে তার সরকার বিএনপি-জামায়াতের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অংশ হিসেবে জনকল্যাণ সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা এবং একটি বাড়ি একটি খামারের মত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দেয়।
শেখ হাসিনা এ সময় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে পরিচালিত গ্রেনেড হামলা এবং জঙ্গিদের সাহায্যে ৬৩টি জেলার ৫শ স্থানে পরিচালিত বোমা হামলার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদের হুমকির প্রসঙ্গে বলেন, আসলে এতে করে অস্ত্র ব্যবসায়ীরাই লাভবান হচ্ছে।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে এ সময় পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ধারায় পুরোপুরি পরিবর্তিত একটি দেশ। সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সন্ত্রাস এবং উগ্রবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ হয়েছেন তাতে পাকিস্তানের জনগণও আনন্দিত। গত বছর গুলশানের হলি অর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, ঐ হামলার পর আর এ ধরনের কোন ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস এবং উগ্রবাদকে কঠোরহস্তে দমনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে অনেক সাধারণ বিষয় রয়েছে এবং দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নেই তিনি কাজ করে যেতে চান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহম্মদ জয়নুল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: