মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক, অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৬২৫-৬২৭৬৪৩

বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে আ’লীগ নেতার জলকুটির খোলা

আমার সুরমা ডটকম:

দেশব্যাপী সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধের প্রথম দিনে সাভারের আশুলিয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতা সরকারি সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার মালিকানাধীন জলকুটির খোলা রেখেছিলেন।

শুক্রবার বিকেলে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউপির রাঙ্গামাটি এলাকায় গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।

জলকুটির খোলা রাখার কারণে এখানে শত শত মানুষ বিনোদনের জন্য ভিড় করেছিলেন। ফলে বিপুল পরিমাণ মানুষের করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিধিনিষেধের প্রথম দিনেই সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিমুলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন খানের মালিকানাধীন গাঙচিল নামের জলকুটির খোলা রেখেছেন। তবে তিনি ওই জলকুটিরের নাম দিয়েছেন গাঙচিল ফাস্টফুড এন্ড রেস্টুরেন্ট। ফাস্টফুড ও রেস্টুরেন্ট নাম লেখা থাকলেও মূলত এটি হচ্ছে জলকুটির। যেখানে এক সঙ্গে বসে লোকজন সময় পার করেন।

এই জলকুটির খোলা থাকায় বিপুল পরিমাণ লোকজন এখানে আসেন। জলকুৃটিরে বসে খবারা অর্ডার দিয়ে বসে গল্প করছেন। গাদাগাদি করে মানুষজন ঢুকছেন আবার বের হচ্ছেন। ফলে এখানে আগতদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।

এদিকে, আগত দর্শণার্থীদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক ছিল না। ছিল না সামাজিক দূরত্ব। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে মানুষজন চলাচল করছে।

বাইদগাঁও এলাকা থেকে এখানে শিশু নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন অঞ্জনা বেগম নামের এক নারী। তিনি বলেন, ঈদের মধ্যে আমরা তো আর দূরে কোথাও যেতে পারি না। এই জলকুটির আমাদের বাড়ি থেকে কাছে হওয়ার কারণে এখানে এসেছি। করোনার ঝুঁকি তো রয়েছে। কিন্তু এরপরও এসেছি।

মুখে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাস্ক প্রতিদিন পড়ি, কিন্তু আজ ভুলে গেছি।

জিরানী এলাকা থেকে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, মেয়েকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি এখানে শত শত মানুষ গাদাগাদি করে চলাচল করছে। অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক নেই। তাই বাধ্য হয়েই মেয়েকে নিয়ে ফিরে যাচ্ছি।

গাঙচিল জলকুটিরের মালিক শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান বলেন, আপনি ফোন দেওয়ার ১৫ মিনিট আগেই বন্ধ করে দিয়েছি। আমি কেবল স্ট্যান্ডে আসছি, বন্ধ করে দিয়েছি, চলবে না।

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজাহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম। যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: