মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১

হাওরাঞ্চলে ফসলহানির নিরপেক্ষ তদন্ত করবে দুদক

আমার সুরমা ডটকমসুনামগঞ্জের হাওর রক্ষা বাঁধে পাউবোর (পানি উন্নয়ন বোর্ড) দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পেলেই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলা সার্কিট হাউজে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। দুদক নিরপেক্ষ তদন্ত করবে জানিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এ কর্মকর্তা বলেন, আপনাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত যদি থাকে আমাদের দেন, তাহলে সেটিও আমরা কাজে লাগাতে পারব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের তদন্তের পাশাপাশি দুদকের ইঞ্জিনিয়াররাও অধিকতর তদন্ত করবেন। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর যদি দেখা যায় যে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছে, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্পূর্ণভাবে কাজ না করে আইনগতভাবে বিল উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুদকের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক শিরিন পারভিন, উপ-পরিচালক রেবা হালদার ও উপ-সহকারী পরিচালক রণজিত কর্মকার।
এর আগে বুধবার সকালে সিলেট পৌঁছে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. নাজমানার খানুমের সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন দুদক গঠিত অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তারা। বেঠকে তারা হাওরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর দুপুরে দুদকের অনুসন্ধান টিমের সদস্যরা যান পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাইয়ের কার্যালয়ে। সেখানে তারা প্রায় ঘণ্টাখানেক আলোচনা করেন।

উল্লেখ্য, হাওর রক্ষা বাঁধের অনিয়ম-দুর্নীতির অনুসন্ধানে গত ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দুদক। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক বেলাল হোসেনকে প্রধান করা হয়। কমিটির অন্য দুজন হলেন দুদকের উপ-পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহিম ও সহকারী পরিচালক সেলিনা আক্তার মনি। এছাড়া দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামানকে অনুসন্ধান তদন্তকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ থেকে অসময়ে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের প্রায় সবকটি হাওরের বোরো ফসলি জমি পানিতে ডুবে যায়। সরকারি হিসাব মতে, ক্ষতির পরিমাণ এক লাখ এক হাজার হেক্টর ধানী জমি তলিয়ে যায়। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। তবে সরকারের এ হিসাব মানতে নারাজ কৃষক ও হাওর বিশেষজ্ঞরা।
তাদের দাবি, তলিয়ে গেছে প্রায় ২ লাখ হেক্টরের ফসলি জমি, যার ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকা। হাওরডুবির পর থেকেই বাঁধ নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার ও জেলাকে দুর্গত ঘোষণার দাবিতে জেলার সর্বত্র প্রতিনিয়ত মানববন্ধন-সভা-সমাবেশ ঝাড়ু মিছিল করে আসছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক-জনতাসহ বিভিন্ন সংগঠন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com