শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
শরণার্থীদের জন্য জার্মানির ৫২,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ

শরণার্থীদের জন্য জার্মানির ৫২,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ

refugees-s-300x164আমার সুরমা ডটকম ডেক্স : সিরিয়া থেকে আসা রেকর্ড সংখ্যক শরণার্থীকে জায়গা দিতে ৬৬০ কোটি ডলার বা প্রায় ৫২,০০০ কোটি টাকা বাড়তি তহবিল ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান সরকার। চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল তার কোয়ালিশন সরকারের মন্ত্রীদের নিয়ে সোমবার দীর্ঘ বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় বলে জানা যায়। এতে বলা হয়, জার্মানির রাজ্য সরকার ও নগর কর্তৃপক্ষগুলো যাতে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে পারে, সেজন্য ওই অর্থ ছাড় করা হবে। এছাড়া আশ্রয়ের আবেদন নিষ্পত্তি ও শরণার্থীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজও দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হবে। জার্মানির সীমান্ত শরণার্থীদের জন্য খুলে দিয়ে মের্কেল বিভিন্ন মহলের প্রশংসা পেলেও নিজের দেশেই তাকে এ নিয়ে সমালোচনায় পড়তে হচ্ছে।মের্কেলের এই সিদ্ধান্ত ভয়ঙ্কর এক নজির তৈরি করেছে বলে রক্ষণশীলদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে।গত শুক্রবার অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরির সঙ্গে আলোচনা করে জার্মানির সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর শনিবার থেকে ১৮ হাজার শরণার্থী ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির এই দেশে পৌঁছেছে। এদিকে জার্মানির সঙ্গে আলোচনা করে জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে অস্ট্রিয়া অভিবাসনের কড়াকড়ি শিথিল করলেও দ্রুত এর সমাপ্তি চেয়েছেন দেশটির চ্যান্সেলর ভার্নার ফেইমান। তিনি বলেছেন, ‘এটি একটি জরুরি পরিস্থিতি। এ পরিস্থিতিতে মানবিক কারণে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা দরকার ছিল। এখন আমরা ধাপে ধাপে জরুরি ব্যবস্থা থেকে স্বাভাবিক ব্যবস্থায় ফিরে যাব, আইন নিশ্চিত করতে ও আইনের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই এটি করা হবে।’ এ বছর মোট ৮ ০০ ০০০ শরণার্থী ও অভিবাসীকে জায়গা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে জার্মানি বলেছে, ইউরোপের অন্যান্য দেশও এই মানবিক সঙ্কট থেকে উত্তোরণে পদক্ষেপ নেবে বলে তারা আশা করে। এখন পর্যন্ত জার্মানির বিভিন্ন রেল স্টেশনে হাসিমুখেই শরণার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা। রবিবার জার্মান ও অস্ট্রীয় স্বেচ্ছাসেবীদের একটি দল গাড়ি নিয়ে হাঙ্গেরি সীমান্ত পর্যন্ত যান এবং সেখানে অবস্থানরত শরণার্থীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন। তারা সেখান থেকে অনেককে সঙ্গে করে নিজেদের দেশে নিয়ে যান। শরণার্থীদের এই স্রোত হাঙ্গেরি পৌঁছানোর আগে গ্রিস, মেসিডোনিয়া ও সার্বিয়া পার হয়ে এসেছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশই সিরীয় উদ্বাস্তু। এছাড়া এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের ভাগ্যান্বেষীরাও আছেন তাদের মধ্যে। যুদ্ধপীড়িত সিরীয়দের এই ঢলে বাংলাদেশিও রয়েছেন বলে খবর পেয়েছে অস্ট্রিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস। সূত্র: এপি, রয়টার্স ও বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com