সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১

দক্ষিণ সুনামগঞ্জে প্রেমিকার আত্মহত্যা

কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, স্টাফ রিপোর্টার (সুনামগঞ্জ):

সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের আক্তাপাড়া গ্রামে এক কিশোর-কিশোরী প্রেম কাহিনীর ঘটনা গ্রামবাসী জেনে ফেলায় অবশেষে কিশোরী আত্মহত্যার মধ্যে দিয়ে প্রেমকাহিনীর যবনিকা টানার খবর পাওয়া গেছে। কিশোরীর নাম শামীমা আক্তার (১৮)। সে আক্তাপাড়া গ্রামের মৃত আল ইসলামের মেয়ে।
বুধবার সকাল ৮টায় কিশোরী পরিবারের লোকজনের অগোচরে নিজের কামরায় তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আক্তাপাড়া গ্রামের আছন্দর আলীর ছেলে শাহিম আলমের (২৫)-এর সাথে শামীমা আক্তারের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সর্ম্পকের কারণেই তাদের দু’জনের মধ্যেই শারীরিক সর্ম্পক ও গড়ে উঠে। ঘটনার দিন গভীর রাতে শাহিম আলম কিশোরী শামীমার কামরায় ঢুকে দুজন মিলে রাত্রিযাপন করে। ভোর বেলা শামীমা আক্তারের মা জাহানারা বেগম তার মেয়ে ও ছেলে শাহিম আলমকে আপত্তিকর অবস্থায় মেয়ের কামরায় দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীর সহায়তায় ছেলে শাহিম আলমকে ধরে হাত পা বেধে কিশোরীর বাড়িতে রাখা হয়। খবর পেয়ে একই গ্রামের প্রভাবশালী তছির আলীর ছেলে হাছন আলী কিশোরীর বাড়িতে এসে হাত বাধা প্রেমিক শাহিম আলমকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার খবরটি গ্রামবাসী জেনে ফেলায় কিশোরী নিজের ইজ্জত ও মান সম্মানের ভয় বিবেচনা করে বাড়ির লোকজনের অগোচরে নিজ কামরায় গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
এ ব্যাপারে প্রেমিক শাহিম আলমের বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য ছালেহ আহমদ কিশোরী শামীমার সাথে তার ভাইয়ের প্রেমের সর্ম্পকের কথা স্বীকার করলেও কিশোরীর আত্মহত্যার ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছেন বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, যদি মেয়ের পরিবার থেকে তাকে আগে প্রেমের সর্ম্পকের কথা জানানো হতো তাহলে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক দুজনের বিবাহের ব্যবস্থা করতেন তিনি। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দাবী করে আইন অনুযায়ী তার ভাইয়ের শাস্তির দাবী জানান।
এ ব্যাপারে কিশোরীর মা জাহানারা বেগম জানান, তিনি সকাল বেলা তার মেয়ের কামরায় মেয়ে ও ছেলে শাহিম আলমকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজন মিলে শাহিম আলমকে ধরে হাত পা বেধে তিনি গ্রামের বিচারকদের বিষয়টি অবগত করতে গেলে গ্রামের প্রভাবশালী হাছন আলী তার বাড়িতে এসে জোরপূর্বক শাহিম আলমকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ায় মান সম্মানের ভয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে সাংবাদিকদের জানান।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি তিনি জানার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এখনো মেয়ের পক্ষ থেকে কেহ অভিযোগ নিয়ে আসেনি আসলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com