বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে এবার হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া ধানের শীষে নির্বাচন করবেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে তিনি এই আসনে নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এ কারণে শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে দেশে ফিরেছেন ড. রেজা কিবরিয়া।
তিনি গণমাধ্যমে বলেন, আমি সবসময়ই আমার জন্মস্থান নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনেই নির্বাচন করতে আগ্রহী ছিলাম। এবার ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার জন্য দেশে এসেছি।
ড. রেজার বাবা শাহ এএমএস কিবরিয়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরে ১৯৯৬ সালে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। শাহ এ এম এস কিবরিয়া ২০০১ সালের নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই) আসনের এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে এক জনসভায় বোমা হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু তারই ছেলে কেন ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন?
জানতে চাইলে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমি আমার জায়গা থেকে দেশের সেবা করে যাচ্ছি। আমার বাবা আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করেছিলেন। এমপি হয়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, মামলার আংশিক তদন্তকাজ করে আমাদের জোর করে তা মেনে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এমনকি মামলার বাদী এমপি আবদুল মজিদ খান আমার মাকে ধমক দিয়ে বলেছিলেন, এ তদন্তই মেনে নিতে হবে। তিনি আমার মাকে এ ধমক দেওয়ার সাহস কোথা থেকে পান?
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে ড. রেজা বলেন, ‘এবার দেশের মানুষ বলুক, যে পার্টি ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও আমার বাবা হত্যার বিচার করেনি। সেই পার্টির প্রতি আমার আনুগত্য থাকবে কেন?
এদিকে ২০১১ সালে হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে উপ-নির্বাচনে জয়ী হন দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ সুজাত মিয়া। এবারও হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে এলাকায় জনসংযোগ করছেন তিনি।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. রেজা বলেন, শেখ সুজাত মিয়া ভালো মানুষ। তিনিও এলাকার উন্নয়ন চান। তাই তিনি আমাকে সমর্থন করবেন এবং আমার জন্য কাজ করবেন। শুধু এমপি হিসেবে-ই নয়, আরও অনেক দায়িত্ব আছে। সুজাত মিয়ার অবশ্যই মূল্যায়ন হবে।
এদিকে শোনা যাচ্ছে, এরই মধ্যে রেজা কিবরিয়া ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে যোগ দিয়েছেন। ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচনে অংশ নিতেই দেশে এসেছেন তিনি। তাদের মধ্যে এ বিষয়ে কথাও হয়েছে।