শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
সুনামগঞ্জের শিল্পনগরী ছাতকের সুরমা নদীর নৌপথে বিভিন্ন নৌ-পরিবহন হতে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়কালে সাত চাঁদাবাজকে আটক করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বুধবার তাদেরকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
আটকৃতরা হল ছাতকের হরিষপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে দিলোয়ার হোসেন, মুক্তিরগাঁওয়ের ইদ্রিছ আলীর ছেলে জাহির মিয়া, মৌলভীগাঁওয়ের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে রায়হান, তাতীকোনা গ্রামের শাহাদত মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া, গনেশপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে নেছার আহমদ, নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আনিছুর রহমানের ছেলে সেলিম আহমদ ও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের হাছন আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম।
বুধবার সুনামগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মিডিয়া সেল সমন্বয়ক এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের সুরমা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বালু পাথর ও বিভিন্ন মালামালবাহি নৌযান (ট্রলার, বাল্কহেড, জাহাজ) হতে ধাওয়া করে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়কালে ওই সাত চাঁদাবাজকে আটক করা হয়।
ডিবির ওসি কাজী মোক্তাদীর হোসেনের নেতৃত্বে ডিবির একটি বিশেষায়িত টিম চাঁদাবাজকদের আটকালে তাদের হেফাজত থেকে আদায়কৃত চাঁদার নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ইঞ্জিন চালিত দুটি ছোট ট্রলার জব্দ করেন।
বুধবার সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান (বিপিএম) গণমাধ্যমকে বলেন, ইতিমধ্যে জেলার সীমান্তনদী জাদুকাঁটা, রক্তি, পাটলাই, ধোপাজান চলতি নদী হতে বিশেষ অভিযানে একাধিক চাঁদাবাজকে চক্রের সদস্যদের আটক করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন নৌপথে চাঁদাবাজির ঘটনা অতি পুরনো জঞ্জাল, এ জঞ্জাল একদিনে দুর করা সম্ভব নয় তবে পর্যায়ক্রমে সকল জেলার সবকটি নৌপথে সক্রিয় রয়েছে এমন চাঁদাবাজকে চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশী তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।