মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আড়াই লাখের অধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত হাওর ও সীমান্তঘেষা সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি ওয়ার্ডে আপাতত তিন শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব মনোনিত করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। শনিবার হতে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও রোগী শনাক্তকরনে লিফলেট বিতরণ এবং শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলায় প্রায় আড়াই লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত সাত ইউনিয়নে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও সন্দেহভাজন রোগী শনাক্ত করণে স্বাস্থ্যকর্মীদের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
উপজেলার তিন শুল্ক ষ্টেশন:
ভারতেরমেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেষা সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়া, চারাগাঁও, বাগলী এ তিন শুল্ক ষ্টেশনে ভারত হতে ট্রাক যোগে প্রতিনিয়ত কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি করা হচ্ছে। সীমান্তের জিরো লাইন (নো ম্যান্স ল্যান্ড) হতে ভারতীয় সহস্রাধিক ট্রাক প্রায় ১ কি.মি. বাংলাদেশ অভ্যন্তরে থাকা শত শত ডিপোতে কয়লা ও চুনাপাথর আনলোড করে ফিরে যাচ্ছে। এসব ভারতীয় ট্রাকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ট্রাক ড্রাইভার তাদের সহযোগী অনধিক এক থেকে দুজন করে হেলপার থাকলেও তাদের দেহে করোনা ভাইরাস রয়েছে কী না তা শনাক্ত করনে এ তিন শুল্ক ষ্টেশনে না রাখা হয়েছে কোন মেডিক্যাল টিম, না আছে থার্মাল স্ক্যানার। ফলে আমদানিকারক, তাদের প্রতিনিধি, পরিবহন শ্রমিকসহ তিন শুল্ক ষ্টেশনে থাকা প্রায় ২৫ হতে ৩০ হাজার লোকজন করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সম্ভাবনায় শংকিত হয়ে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়া শুল্ক ষ্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, এ উপজেলার তিনটি শুল্ক ষ্টেশনে থার্মাল স্ক্যানার কিংবা মেডিক্যাল টিম আপাতত নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বলেন,বৃহস্পতিবার দুপুর অবধি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোন সন্দেহভাজন রোগী উপজেলায় পাওয়া যায়নি।
আপাতত প্রবাস থেকে কোন নাগরিক উপজেলায় ফিরেন নি। তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক ভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজি)’র নির্দেশনায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল শুল্ক ষ্টেশনে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে হলেও তাহিরপুরের তিনটি শুল্ক ষ্টেশনের ব্যাপারে কোন দিক নির্দেশনা না আসায় বৃহস্পতিবার অবধি সেখানে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা আপাতত রাখা হয়নি।
বৃহস্পতিবার তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী বলেন, মনিটরিং টিমের পাশাপাশী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করার হয়েছে, তিন শুল্ক ষ্টেশনে করোনা ভাইরাস ঝুঁকি এড়াতে থার্মাল স্ক্যানার রাখা সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আলোচনা করা হয়েছে।