রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:
পাকিস্তানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমে আসায় মহামারি নিয়ন্ত্রণে জারিকৃত প্রায় সমস্ত বিধি-নিষেধ তুলে নেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে নিয়োজিত জাতীয় সমন্বয় কমিটির (এনসিসি) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপ কমে আসায় প্রায় পাঁচ মাস পরে এই বিধি-নিষেধগুলো তুলে নেয়া শুরু হচ্ছে। বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার চলতি সপ্তাহের শেষের দিক থেকে রেস্তোঁরা, হোটেল, সিনেমা, বিউটি পার্লার, জিম এবং অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালু করতে অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৮ আগস্ট থেকে পর্যটন খাত এবং ১০ আগস্ট থেকে রেস্তোঁরা ও পরিবহন খাত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কমিউনিটি সেন্টারসহ আরও কয়েকটি সেক্টর খোলা হবে।
বৈঠকে রেলওয়ে, এয়ারলাইনস এবং মেট্রো বাসের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ট্রেন, প্লেন ও বাসে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী অক্টোবরের থেকে এই বিধি-নিষেধও তুলে নেয়া হবে। পাকিস্তানে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে এই বিধিনিষেধগুলো গত ১ মার্চ থেকে জারি করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী আসাদ উমর জানান, ‘আউটডোর এবং ইনডোর রেস্তোঁরা এবং ক্যাফেগুলিকে ১০ আগস্ট থেকে খোলার অনুমতি দেয়া হবে এবং পরের দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়াও, সোমবার থেকে পাবলিক পার্ক, থিয়েটার, সিনেমা, বিনোদনমূলক উদ্যান, তোরণ, এক্সপো সেন্টার এবং বিউটি পার্লারগুলিও উন্মুক্ত করার অনুমতি দেয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘দর্শকদের উপস্থিতি ছাড়াই টুর্নামেন্ট ও ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইনডোর জিম এবং স্পোর্টস ক্লাবগুলিও চালু করা হবে।’
উমর জানান, ‘১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি চালু হবে তবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী সেপ্টেম্বরের শুরুতে পরিস্থিতির চূড়ান্ত পর্যালোচনার জন্য প্রাদেশিক মন্ত্রীদের সাথে পরামর্শ করবেন।’ মন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর বিস্তার বন্ধে প্রয়োজনীয় নিয়ম মেনে পাকিস্তানের জনগণ প্রকৃত বীরের মতো মহামারীকে পরাস্ত করবে।’ তিনি বলেন, ‘সরকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যকর কৌশল, ডাক্তার এবং প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং নাগরিকদের সহযোগিতার কারণে পাকিস্তানে মহামারীটি ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।’ তবে উমর সাবধান করে দিয়েছেন যে, বড় সমাবেশের ক্ষেত্রে নাগরিকদের তাদের প্রাদেশিক সরকার কর্তৃক জারি করা নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।
সূত্র: ডন, পাকিস্তান ট্রিবিউন