রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:
মুসলিম বিদ্বেষ, নির্যাতন ও দলিত ধর্ষণের ঘটনায় প্রায়ই সংবাদ শিরোনামে আসে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্য। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একজন হিন্দু পুরোহিত ও বিজেপি নেতা। অদ্ভুত সিদ্ধান্ত বললেও কম বলা হয়। তব, এমনই এক সিদ্ধান্ত নেয়া হল র রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। মুসলিম নির্যাতনে তার সরকার মদত দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই উত্তরপ্রদেশেই এবার গালে দাড়ি রাখার ‘অপরাধে’ উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টর (এসআই)-কে বরখাস্ত করা হল।
অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার রমলা থানায়। জানা গিয়েছে, বরখাস্ত হওয়া ওই পুলিশকর্মীর নাম ইন্তসার আলি। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, দাড়ি রাখা কি অপরাধ ভারতে? যদিও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, পুলিশের ড্রেস কোডের নিয়ম ভাঙায় বাগপত জেলার রামলা থানার সাব-ইন্সপেক্টর আলিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বরখাস্ত হওয়ার পর ওই পুলিশকর্মী জানিয়েছেন, দাড়ি রাখতে চেয়ে অনুমতির জন্যে তিনি গত বছরের নভেম্বর মাসেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও সেই আবেদনের কোনও প্রত্যুত্তর পাননি তিনি। এমনকী সাব-ইন্সপেক্টর আলি এমনও দাবি করেছেন, গত ২৫ বছরের কর্মজীবনে তিনি আগেও দাড়ি রেখেছেন। কিন্তু কখনই তা তার কাজের জন্যে সমস্যা হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমি ৯৪ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছি। কেউ এর আগে কখনও আমায় দাড়ি নিয়ে কিছু বলেনি। বাধাও দেয়নি। আমাকে যখন গতবছর বলা হয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে, তখনই আমি সেই অনুমতি চেয়ে আবেদন করি। কিন্তু আজও তার উত্তর পাইনি। আমায় হ্যাঁ বা না কিছুই বলা হয়নি।’
পুলিশের উপর মহলের দাবি, রাজ্য পুলিশের ড্রেস কোড ম্যানুয়ালে উল্লেখ রয়েছে, শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যরা ছাড়া অন্যান্য পুলিশকর্মীরা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনওভাবেই দাড়ি রাখতে পারবেন না। ওই নিয়মকে সামনে রেখেই আলিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছেন বাগপত জেলার পুলিশ সুপার অভিষেক সিং। তিনি জানান, ‘অনুমতি ছাড়াই দাড়ি রাখার কারণে আলিকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বারংবার নির্দেশ দেয়া সত্বেও তিনি ড্রেস কোডের নিয়ম পালন করেননি। তাই এবার সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ থানার তরফেও বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘ড্রেস প্রোটোকল না মানা এবং দাড়ি রাখার জন্য ইন্তসার আলিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আলি কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই ড্রেস কোড লঙ্ঘন করে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।’
সূত্র: টিওআই