রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, শহীদ নূর হোসেন ছিলো স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মাইল ফলক। গণতন্ত্র পুনুরুদ্ধারের অভিযাত্রায় নূর হোসেনের আত্মত্যাগ অন্দোলন সংগ্রামে নতুন প্রাণের সৃষ্টি করে ।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে এক ভিডিও বার্তায় আমির হোসেন আমু এ কথা বলেন। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচিতে শহীদ যুবলীগ কর্মী নূর হোসেন, নুরুল হুদা বাবুল সহ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তাদের এই অবদান ইতিহাস হয়ে থাকবে।
ঐদিনের স্মৃতিচারণ করে আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দেশে ফিরে আসার পর তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বৈরশাসকের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র কায়েম করতে হবে । সেই লক্ষ্যে তাঁর নেতৃত্বে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল।
আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর সারাদেশে ছিল অবরোধের কর্মসূচি। স্বৈরাচার পতনের কর্মসূচি। অবরোধের অংশ হিসেবে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বুকে পিঠে গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক শ্লোগান লিখে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন যুবলীগ কর্মী নূর হোসেন। কর্মসূচিতে যোগ দিতে তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী , তিন দলীয় জোটের নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ী পৌঁছামাত্র দৌঁড়ে এসে নূর হোসেন নেত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করে তাঁর দোয়া নিয়েছিলেন। সেখান থেকে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নূর হোসেন শহীদ হন। উপস্থিত সবার ধারণা শেখ হাসিনার প্রাণ নাশের জন্য তাঁর গাড়ীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিল। সেই গুলিতেই নুরহোসেন শহীদ হন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদের জন্য রওনা হলে তার গাড়ী ক্রেন দিয়ে টেনে তুলে ফেলা হয়েছিল।
ভিডিও বার্তায় গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে দেশবাসীকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা।