একাধিক টুইট করে ইমরান খান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারতের বিজেপি নেতৃত্বাধীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেশের ‘অভ্যন্তরীণ সমস্যা’ থেকে দৃষ্টি সরাতে এই ধরনের অভিযান পরিচালনা করবে। এর দু’দিন আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশী সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যেয়ে বলেন যে, তার সরকারের কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে যে ভারত তার অভ্যন্তরীণ বিষয় থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করার পরিকল্পনা করছে এবং এ জন্য তারা তাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
ভারত সরকার দেশের ভেতর বিভিন্ন ব্যাপার নিয়ে চাপে আছে। কৃষক আন্দোলন, ভাইরাস মোকাবিলা, অর্থনৈতিক দুরবস্থা সবদিক থেকে নজর ফেরাতে বেছে নেয়া হতে পারে ‘সফট টার্গেট’ পাকিস্তানকে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ইমরান খান জানান, ভারতের হিন্দু ভাবধারায় বিশ্বাসী বিজেপি সরকার খুব তাড়াতাড়ি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাগ অপারেশন করার প্ল্যান করে রেখেছে। নিজেদের আন্তর্জাতিক পার্টনার (আমেরিকা, ইজরাইল)দের থেকে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ভারত। পেলেই লোক দেখাতে মিথ্যা ফ্ল্যাগ অপারেশন করা হতে পারে। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ বছরই ভারতের তরফ থেকে বহুবার সিজ ফায়ার লংঘন করা হয়েছে। পাকিস্তানি সেনা ছাড়াও সাধারণ গ্রামবাসী মারা গেছেন ওই গোলাগুলিতে। এরপর আন্তর্জাতিক মহলের কাছে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি পরিষ্কার করে দিতে চাই ভারত যদি নিজেদের সীমা অতিক্রম করে পাকিস্তানের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা অন্য কোনও ধরণের হামলা করার পরিকল্পনা করে থাকে তাহলে তার মূল্য চোকাতে হবে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সমুচিত জবাব দেয়া হবে। পাক সামরিক বাহিনী সবদিক থেকে প্রস্তুত। দেশের মানুষ পর্যন্ত লড়াইয়ে নামতে তৈরি। ভারত এই কাজ করলে তাদের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।’
উল্লেখ্য দু’দিন আগেই পাকিস্তান অভিযোগ তুলেছিল ইউনাইটেড নেশনস অবজারভারদের গাড়িতে গুলি চালিয়েছে ভারত। ইউএন তা স্বীকার করেছে। রাওয়ালকোট সীমান্তের কাছে ভারতের দিক থেকেই তাদের গাড়িতে কিছু একটা লেগেছিল। ব্যাপারটি অনুসন্ধান করছে তারা। ইমরান খানের পাল্টা জবাব অবশ্য দেয়নি ভারত। সূত্র: ডন।