রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:
খ্রিস্টীয় নর্ববর্ষ ২০২১ উদযাপন করতে গিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অন্তত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এসময় আহত হয়েছেন অনেকে। গতকাল শুক্রবার (১ জানুয়ারি) এ খবর জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
নতুনকে বরণ করে নিতে বিশ্বব্যাপী নানা উৎসব-আয়োজনে মুখর ছিল চারিদিক। যদিও এ বছর করোনা মহামারির কারণে আগের সব বছরের মতো উৎসবের সুযোগ মেলেনি। তবে বাড়িতে বসেও লোকজনের আনন্দ-উৎসব ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেক দেশেই এ বছর বড় পরিসরে নিউ ইয়ারের উৎসব পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আবার অনেক দেশেই স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু হয়েছে।
শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, নববর্ষ উদযাপনের সময় শুধু দক্ষিণ-পশ্চিম বসনিয়া অ্যান্ড হার্জগোভিনার একটি কটেজে আটজন নারী-পুরুষ কার্বন মনোঅক্সাইড বিষক্রিয়ায় মারা যান বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। নিহতরা সবাই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী।
অপরদিকে, তুরস্কে আতশবাজিতে চোখে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নরওয়ের ফুটবলার ওমর এলাবদেলাউয়ি। আঙ্কারার লিভ হসপিটালের চিকিৎসক ডা. ভেদাত কায়া জানিয়েছেন, তার দুই চোখেই আঘাত লেগেছে। তিনি জানিয়েছেন, ওই ফুটবলারের চোখ নষ্ট হয়নি। তবে তার একটি চোখের আঘাত গুরুতর।
পূর্ব ফ্রান্সে আতশবাজি বিস্ফোরণে ২৫ বছর বয়সী এক যুবক মারা গেছেন। একইভাবে জার্মানিতে বাড়িতে আতশবাজি তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণে মারা গেছেন ২৪ বছর বয়সী এক যুবক। জার্মানিতে একই ধরনের ঘটনায় আরো কয়েকজন আহত রয়েছেন।
এছাড়া নববর্ষ উদযাপনী বন্দুকের গুলিতে লেবাননে এক সিরিয়ান শরণার্থী নারীর মৃত্যু হয়েছে। ইরাকে একইভাবে মারা গেছেন একজন। আহত অন্তত ১৫।
তুরস্কে নরওয়েজিয়ান ফুটবলার ওমর এলাবডেল্লাউই আতশবাজি থেকে দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে চোখের ইনজুরি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার দুই চোখই ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ইরাকের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশটিতে নিউ ইয়ারের উৎসবে আতশবাজির কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ২৫ জন আহত হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে গণজমায়েত ও আতশবাজি-সহ বিভিন্ন কার্যক্রমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইরাকের বিভিন্ন স্থানে তা অমান্য করেই উৎসব করেছে মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এভাবে আরো অনেক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
সূত্র: আল জাজিরা