শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের সুরাই নদীর ওপর ৮০র দশকে নির্মিত মিলনগঞ্জ বাজারের পাশে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কারের দাবীতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ৬ই জানুয়ারী রোজ বুধবার বিকাল ৪টায় বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়!
মোঃ শিহাব মিয়া ও এস এম উমেদ আলী’র যৌথ পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তারাপাশা মাদরাসার মুহতামীম মাওলানা আব্দুর রকিব, সাবেক মুহতামীম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, ডা. আব্দুর রহমান, মোঃ মাহমুদ চৌধুরী, হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা একরার হোসেন, সাবেক ফুটবলার রাজনীতিবিদ আলাউর রাহমান আলা, আজমল খান, মাস্টার জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মাস্টার আব্দুল বাছির চৌধুরী, দৈনিক জনতার কণ্ঠের উপদেষ্টা সামছুল ইসলাম আবাব, কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপের উপদেষ্টা মোঃ চাঁন মিয়া চৌধুরী, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহরিয়ার শামীম, দৈনিক কালের সিলেটের সম্পাদক সুজন মিয়া, ডা.কমল মিয়া প্রমুখ!
বক্তারা বলেন, ৮০র দশকে নির্মিত মিলনগঞ্জ বাজারের পাশে ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ না হওয়ায় বর্তমানে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।হতে পারে প্রাণহানী। তাই অনতিবিলম্বে এ ঝুকিপূর্ণ ব্রিজটি পুনঃনির্মাণের জন্য মাননীয় এমপি মহোদয়া জয়া সেন গুপ্তা’র সুদৃষ্টি কামনা করা হয়!
আশির দশকের এ পুরাতন ব্রিজটি এখন চলাচলের ক্ষেত্রে অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ, প্রতিদিন চলাচল করছে হাজারো স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। সেতুর পাশে অবস্থিত আলহাজ্ব আব্দুল মতলিব উচ্চ বিদ্যালয়, হেমন্ত মৌসুমে প্রতিদিন যাতায়াত করছে হাজারো শিক্ষার্থী।
সেতুটির রেলিং ভেঙ্গে পড়েছে অনেক আগ থেকেই, প্রায় জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্তের। পিলারের রড বের হয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে আছে। হেমন্ত মৌসুমে ইট পাথরের নৌকা সেতুর নিচ দিয়ে যায়না, ফলে ভোগান্তির শেষ নেই বড় বড় নৌকার মাঝিদের।
পুরাতন এ ব্রিজের মধ্যখানের দুটি পিলার ফাটল দিয়ে সুরকী খসে পড়েছে, পিলারের রড বের হয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে আছে, রেলিং ভেঙ্গে পড়েছে অনেক আগ থেকেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেবুতে অনেকেই লিখছেন এ ব্রিজ নিয়ে, ফুটে উঠেছে হতাশা ও ক্ষোভ!
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা লুৎফুর রহমান, আব্দুল গফুর, মোঃ গোলাম জিলানী, মোঃ চুনু মিয়া, সৈয়দ আলী আহসান মনোহর, সাংবাদিক ইমরান আহমদ, সাংবাদিক সাজু আহমেদ, মোঃ শাহিন মিয়া, শামসুজ্জামান, ছাত্রলীগ নেতা হুসাইন আহমেদ, মাওলানা ফয়জুল হাসান, সৈয়দ সাবের হোসেন বিজয়, সৈয়দ সুলেমান, শাকির আলম, আবুল হাসনাত শিহাব, নাসিম খান, জুবেল খান, জসিম খান, সেজু মিয়াসহ উপস্থিত ছিলেন অত্র এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সর্বস্তরের জনতা এবং স্কুল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা!
হেমন্ত মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজ দিয়ে চলাচল করবে মিলনগঞ্জ বাজারে আসা যাওয়া লোকজনসহ হাজারো শিক্ষার্থী, মালামাল নিয়ে চলাচল করবে ভারী যানবাহন,ফলে যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে প্রাণহানির দুর্ঘটনা!
তাই এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে আরেকটি ব্রিজ নির্মাণ করা হোক!
এই ব্রীজ পূণঃনির্মানের জন্য অতি দ্রুত সময়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার জন্য মানববন্ধন শেষে ৪ গ্রামের ৪ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তারা হলেন রাড়ইল গ্রামের মোঃ চাঁনমিয়া চৌধুরী, টংগর গ্রামের মোঃ সুজন মিয়া, তারাপাশা গ্রামের সৈয়দ উমেদ আলী এবং জারলিয়া গ্রামের মোঃ শাহিন মিয়া!