মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখীতেই থাকছে। এ অবস্থায় ১৪ জুলাইয়ের পরও বিধিনিষেধ থাকছে বলে একাধিক সূতে জানা গেছে। তবে ঈদ এবং অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে কিছুটা শৈথিল্য থাকবে।
এদিকে ১৪ জুলাইয়ের পরও বিধিনিষেধ থাকছে বলে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, এ বিষয়ে সোমবার (১২ জুলাই) রাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রোববার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বিকেলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শে চলমান বিধিনিষেধ ফের বাড়তে পারে।
এদিকে কঠোর বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে গত ৫ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
গত ২৪ জুন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনে’র সুপারিশ করা হয়। কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এরপর ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। যা চলমান অবস্থায় গত ৫ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনে বাড়ানো হয়।
দেশে করোনার সবশেষ পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ হাজার ৪১৯ জনে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১১ হাজার ৮৭৪ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জনে।
এর আগে শুক্রবার (৯ জুলাই) দেশে ২১২ জনের মৃত্যু হয়। ১০ জুলাই দেশে ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়। ৮ জুলাই করোনায় দেশে ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়। ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের।
গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) ১১ হাজার ৬৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়, যা এক দিনে ছিল সর্বোচ্চ। তার আগে মঙ্গলবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৫২৫ জন শনাক্ত হন।