শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০২ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
সরকারের খাস জমিতে কারো অনুমতি ছাড়াই ঘর তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের নিষেধকে উপেক্ষা করে ঘর তোলায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। যদিও স্থানীয় ভূমি অফিসের তহশিলদারের নিষেধের পর আপাতত কাজ বন্ধ রেখেছে ভূমি দখলকারী ব্যক্তিরা।
সরেজমিন গতকাল গিয়ে দেখা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চরনারচর বাজারের উত্তরে শশ্বানের পাড়ে নালার উপর মাটি কেটে ঘর তৈরি করার উদ্যোগ নেন একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কামালপুর গ্রামের মৃত শম্ভু বৈষ্ণবের পুত্র সদানন্দ বৈষ্ণব ও মৃত রবিন্দ্র বৈষ্ণবের পুত্র নিত্যবান বৈষ্ণব। তহশিলদারের নিষেধের পরও সরানো হয়নি ঘর বানানোর আসবাবপত্র। ফলে স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, যে কোন সময় তারা নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে ঘর তৈরি করতে পারে।
চরনারচর গ্রামের মৃত জয়কুমার বিশ্বাসের পুত্র নিরঞ্জন বিশ্বাস, মৃত নব বিশ্বাসের পুত্র বাজারের কালী মন্দিরের পুজারী মেঘলাল বিশ্বাস, লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাসের পুত্র সুজিত বিশ্বাস, গণেশ বিশ্বাসের পুত্র সুধির বিশ্বাস, মৃত রানুকান্ত বিশ্বাসের পুত্র অঞ্জন বিশ্বাস, মৃত রাজকুমার বিশ্বাসের পুত্র বিকাশ বিশ্বাস, মৃত কালীকুমার বিশ্বাসের পুত্র মনধন বিশ্বাস, মৃত অরকুমার বিশ্বাসের পুত্র রবি বিশ্বাস, মৃত ফুল কিশোর বিশ্বাসের পুত্র জোগেশ বিশ্বাস, মৃত বিজয় বিশ্বাসের পুত্র বিষ্ণু বিশ্বাস, মৃত ক্ষেত্রমন বিশ্বাসের পুত্র দিপু বিশ্বাস, মৃত জয়চান বিশ্বাসের পুত্র রামু বিশ্বাস জানান, শশ্বানের দীঘিতে এলাকার লোকজন নিত্যদিনের কাজকর্ম করে থাকে। বৃষ্টিতে ভরে গিয়ে পানি যদি বের হতে না পারে, তবে এ পুকুরের পানিতে রাস্তাঘাট, বাড়ি এমনকি বাজারও প্লাবিত হয়ে যাবে। তাই সে সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকতে অভিযোগকৃত জায়গায় আগে থেকেই একটি নালা ছিল। ভূমিদস্যুরা এখানে মাটি ফেলে নালাটি বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মাটি ভরাট করে ঘর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভূমি দখলকারী সদানন্দ বিশ্বাস বলেন, বাজারের সকল জায়গাই দখলকৃত। আমরা যে জাগয়ায় ঘর তুলছি, সেটি আনরেজিস্ট্রারভাবে ক্রয়কৃত। তবে স্থানীয় তহশিলদার নিষেধ দেয়ার পর এখন আর কোন কাজ করছেন না বলেও তিনি জানান।
চরনারচর ইউনিয়নের ভূমি অফিসের তহশিলদার নিখিল পুরকায়স্থ জানান, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে সরে যেতে বলেছি। তারাও আর কোন কাজ করবে না বলে আশ্বস্ত করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমি নিষেধ দেয়ার পরও কেন ঘর বানানোর মালামাল সরাচ্ছেনা, তা পুনরায় গিয়ে দেখবো।